খুলনার খানজাহান আলী থানার মশিয়ালী গ্রাম এলাকায় সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনায় আরো দু’জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন সাইফুল ইসলাম (২৭) মারা যায়। এছাড়া ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী প্রতিপক্ষের জিহাদ নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সাড়ে ৮টার দিকে সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়ে নজরুল ইসলাম ফকির (৬৫) ও গোলাম রসুল (৩৫) নিহত হয়। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কানাই লাল সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে হত্যাকারী সন্দেহে মশিয়ালী গ্রামে মৃত হাচান আলী শেখের ছেলে শেখ জাকারিয়া হোসেনের বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ জনতা। মশিয়ালী গ্রাম ও আশেপাশে আটরা-গিলাতলা এলাকা জুড়ে থমথম পরিবেশ বিরাজ করছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তবে স্থানীয় বাসিন্দা আলীম জুট মিলের শ্রমিক নেতা আব্দুল হামিদ বলেন, গুলি বর্ষনের ঘটনায় জড়িত শেখ জাকারিয়া হোসেন ও তার দুই ভাইয়ের অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তারা এলাকায় অত্যাচার, জুলুম, চাঁদাবাজি ও সুদের ব্যবসা করে। তাদের কারণে অনেকে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
এ হত্যাকান্ডের পর পুরো এলাকাবাসী তাদের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছে। তিন ভাই কয়েক কোটি টাকার খরচ করে এলাকায় তিনটি বাড়ি তৈরি করেছে, ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী ওইসব বাড়ি ও তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। ঘটনার পর তিন ভাই ও তাদের পরিবার রাতেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি : বৃহস্পতিবার রাতে গুলি বিনিময়, অগ্নিসংযোগের পর গতকাল ও আজ শনিবার এলাকা জুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসীকে বিভিন্ন স্থানে জড়ো হয়ে দফায়-দফায় বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখা যায়। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একই সাথে কাউকে আইন হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য হ্যান্ড মাইকে অনুরোধ করছে পুলিশ। মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির মোবাইল ফোনে স্থানীয়দের উদ্দেশে বক্তৃতায় জানিয়েছেন, হত্যাকারীদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত কোন পুলিশ ব্যারাকে ফিরবেন না।