বাগেরহাটে একদিনে সর্বোচ্চ ৪২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং যশোরের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় এদের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এই নিয়ে বাগেরহাটে মোট করোনা আক্রন্তের সংখ্যা ৪‘শ ৭৫ জনে দাড়ালো ।
করোনা ভাইরাসে আক্রন্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছে ১০ জন। বুধবার দুপুরে সিভিল সার্জন ডা. একে এম হুমায়ুন কবির এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আক্রান্তরা সবাই সুস্থ-স্বাভাবিক রয়েছেন। বাগেরহাট জেলায় এই নিয়ে মোট ৪৭৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হল। এর মধ্যে ২৬০ জন সুস্থ হয়েছেন। জেলায় এ পর্যন্ত মারা গেছে নারীসহ দশজন।
এদিকে রামপাল উপজেলার দলদা (ফয়লা বাজারের পাশে) গ্রামের শাহিন হোসেনের মৃত্যুর চারদিন এবং নমুনা সংগ্রহের ১০ দিন পরে জানা গেছে তিনি করোনা পজেটিভ ছিলেন। ১৮ জুলাই যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) এ মারা যায় শাহিন হোসেন। এর আগে করোনা উপসর্গ থাকায় ১২ জুলাই শাহিন হোসেনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ১৭ জুলাই শ^াসকষ্ট হলে শাহিনকে যশোর সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।
রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুব্রত কুমার পাল বলেন, করোনা উপসর্গ থাকায় ১২ জুলাই শাহিনসহ ২৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বুধবার দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পাঠানো রিপোর্টে ১১ জনের পজেটিভ রিপোর্ট আসে। এর শাহিন হোসেন করোনা পজেটিভ।
আমরা শাহিনের পরিবার ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানতে পারি ১৮ তারিখ সে মারা গেছেন। বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের একটি বাড়িতে ওইদিনই তার দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। তার দাফন কাজে অংশগ্রহনকারী চারজনের মধ্যে তিনজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
সুব্রত কুমার পাল আরও বলেন, ১৭ তারিখ শাহিন হোসেন জানিয়েছিলেন তার শ^াসকষ্ট হচ্ছে। তখন আমরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেই। কিন্তু পরবর্তীতে তার ছেলে সেনাবাহিনীতে চাকুরী করার সুবাদে যশোর সিএমএইচে ভর্তি করে।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. একে এম হুমায়ুন কবির বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং যশোরের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় এই ৪২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর মধ্যে খুলনার পিসিআর ল্যাবে ৩১ এবং যশোরে ১১ জন রয়েছেন। এটা একদিনে বাগেরহাটে সর্বোচ্চ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সবাইকে আরও সচেতন হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।