সারা বছর অলস সময় পার করলেও এখন ব্যস্ত সময় পার করছে মেহেরপুরের গাংনীর কামাররা। মাংস কাটার অনুসঙ্গ দা বটি ছুরি ডাসা তৈরী ও সান দিতে রাত দিন পরিশ্রম করছেন তারা। তারপরও কাঙ্খিত কাজ না পাওয়ায় আগের চেয়ে আয়-রোজগারে ভাটা পড়েছে। আবার যে পরিমান কাজ পাওয়া যাচ্ছে কয়লা ও ইস্পাতের অভাবে বানাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্মকাররা।
কড়া নাড়ছে কোরাবনীর ঈদ। তাই নড়ে চড়ে বসেছেন কামাররা। সারা বছর অলস সময় পার করলেও কোরবানীর মৌসুমে বেশ ব্যস্ততা বেড়ে যায় কামার পাড়ায়। কেউ আসছেন কোরবানী করার অন্যতম অনুসঙ্গ ধারালো ডাসা, ছুরি, বটি, হাসুয়াসহ বিভিন্ন জিনিস তৈরি করতে। আবার কেউবা আসছেন এ সব সরঞ্জাম সান দিতে। বছরের অন্য সময়ে দিন ২০০ থেকে আড়াইশ টাকা আয় হলেও এ সময়ে প্রতিদিন আয় হচ্ছে ৭০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা।
ষোলটাকা গ্রামের বুদুই কামার জানান, বিভিন্ন দোকানে তৈরি করা সব সরঞ্জামই কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। ফলে সবাই আর আগের মতো কামারদের স্মরণাপন্ন হয় না। অন্যদিকে যে কাজের জন্য লোকজন আসছেন লোহা ও ইস্পাতের মূল্য বৃদ্ধিতে কারণে বানাতে হিমিশিম খাচ্ছে কর্মকাররা।
এ ছাড়াও বিভিন্ন হার্ডওয়ার দোকানে চায়না থেকে আমদানী করা মাংস চুরানোর ধারালো অস্ত্র পাওয়া যাচ্ছে। শহরের মানুষ সেগুলো কেনায় কামারদের কাছে অনেকেই আসছেন না। এখন মাঠের ফসল আবাদের জন্য যেসব অস্ত্রের দরকার সেগুলোই তৈরী হচ্ছে। একই কথা জানালেন আমতৈল গ্রামের মুকুন্দু কামার ও মদন।
ক্রেতারা জানালেন, ডাসা, ছুরি বটি সান দিতে ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা, আরা ডাসা, বটি তৈরি করতে ৭০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা নিচ্ছেন কর্মকাররা। গত বছর মাংস কাটার যে ডাসার দাম ছিল ১৫শ টাকা সেই ডাসার দাম দুই হাজার টাকা। গত বছরের তুলনায় এ বছরে দাম বেশি পড়ছে। আর অনেকেই আগে ভাগেই কাজ সেরে নিচ্ছেন।