মানুষের ৫টি মৌলিক চাহিদার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চিকিৎসা।বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের স্বাস্থ্য খাতে উলে¬খ যোগ্য উন্নতি সাধিত হয়েছে দেশের প্রতিটি নাগরিকের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত কল্পে সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাপী কোভিট ১৯ করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পরায় এর প্রভাব পরেছে বাংলাদেশে।এ রোগে প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।আবার এই রোগের চিকিৎসা দিতে গিয়ে প্রান হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ও নার্স।ফলে দেশের মানুষের কাছে আস্থা ও বিশ্বাসের পাত্র হয়েছেন ডাক্তার ও নার্সরা।
আবার সাহেদ সাবরিনার মত ডাক্তারদের কারনে দেশের অনেক ক্ষতি ও হয়েছে। সারা দেশে এই অবস্থা বিদ্যমান থাকলে ও পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিত্র যেন সম্পুর্নই আলাদা। হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নেওয়ার জন্য আসা রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের আগেই চিকিৎসক কর্তৃক তাদের মাঝে করোনা আতংঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে দায়িত্বরত ডাক্তার ও নার্সদের উপর ।করোনা উপর্সগ নিয়ে কোন রোগী হাসপাতালে গেলে তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সহ স্থানীয়রা।
তারা আরো জানায় করোনা ভাইরাসের দোহাই দিয়ে হাসপাতালে সেবা প্রদানের পরিবর্তে রেফার্ড করে তাদের পাঠানো হচ্ছে গাইবান্ধা রংপুর বগুড়া কিংবা ঢাকায়। এমতবস্থায় বিত্তবানরা টাকা জোড়ে উন্নত চিকিৎসা পেলেও অসহায় মানুষেরা পড়েছে চরম বিপাকে। উপসর্গসহ বা উপসর্গ ছাড়া রোগীদের মাঝে আতংঙ্ক সৃষ্টি করছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ।বাধ্য হয়ে অন্য রোগে আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ীতে কিংবা বে সরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
অথচ কাগজে কলমে সরকারি হিসেবে এই হাসপাতালে করোনা রোগীর জন্য ৫ টি আইসোলেশন বেড প্রস্তুতত দেখানো হয়েছে।দুঃখের বিষয় হলে ও সত্য করনো শুরু থেকে গত ৪ মাসে এই বেড সমুহে স্থান পায় নি কোন করোনা রোগী।এ রোগের চিকিৎসা পলাশবাড়ী হাসপাতালের ডাক্তার নার্সরা দিচ্ছে মোবাইলে।আবার কখনো ব্যবস্থা পত্র লিখে দিচ্ছে রোগীর স্বজনদের হাতে।
সরকারি এক পরিসংখ্যানের দেখা যায় পলাশবাড়ী উপজেলায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা মোট ৬৭ জন, সুস্থ হয়েছেন মোট ২৯ জন,মৃত্যু বরন করেছেন ৪ জন।
বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা গ্রহন করছেন ৩৪ জন।অবিশ্বাস হলে ও সত্য এসব রোগীর কোন স্থান হয় নি পলাশবাড়ী সরকারী হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে।হাসপাতালে চিকিৎসা নেই পরিবেশ ভাল নেই বিভিন্ন ভাবে রোগীদের বিদায় করে তাদের বাড়ীতে চিকিৎসা নিতে বাধ্য করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলায় স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তাদের আনিছুর রহমান বলেন আমি কোন তথ্য দিতে রাজি নই।ইউএনও এবং সিভিল সার্জন মহোদয় তথ্য দিতে নিষেধ করেছেন।তবে তথ্য নিতে হলে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করে তথ্য নিতে হবে।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের দাবী এই টিএইচ আসার পর থেকে পলাশবাড়ী সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা মুখ থুবরে পরেছে।তারা এই অবস্থান থেকে পরিত্রান পেতে স্থানীয় সংসদ সদস্য, সিভিল সার্জনসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।