সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রাজুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের। গত ২২’জুলাই নাসিক ২নং ওয়ার্ড দক্ষিনপাড়া এলাকার অবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর একই এলাকার বাসিন্ধা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক কাজেম আলী ভূইয়ার ছেলে আমিনুল হক রাজু’র বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাদের জন্য পুলিশের আইজিপি মহাদয় বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যার সিরিয়াল নং এস এল ৮’শ ৯০।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আমিনুল হক রাজু একজন চাঁদাবাজ ও দূর্ধষ্য অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী চক্রের সক্রিয় সদস্য। সে দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারিদলের নেতা পরিচয় দিয়ে নাসিক ২নং ওয়ার্ডসহ আশ-পাশের এলাকায় জমিদখল, নতুন ভবন নির্মানাধিন মালিকের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজিসহ মাসোহারা আদায় করছে।
বিশেষ করে একিন আলী মুন্সির ছেলে মোতালেব সরদার, ওমরের ছেলে কাশেম, হাকিম, মনির, লোকমান সর্ব পিতা অজ্ঞাত ও মুসার ছেলে আমির হোসেনসহ এলাকার বেশ কয়েক জনের কাছ থেকে ৭০’হাজার টাকা করে আদায় করেছে। অত্র এলাকায় কাঁচা রাস্তা ভরাট সংক্রান্তে ৫০’হাজার টাকা আদায় করেছে।
এলাকায় জমি ক্রয়-বিক্রয় হলে অথবা বাড়ি নির্মান করতে গেলে রাজুকে দিতে হয় ২’লাখ টাকা। টাকা না দিলে তার সন্ত্রাসী বাহিনি দিয়ে নির্মান কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাজু মাদক ব্যবসার সাথেও জরিত। তাহার শশুর হিরোইন স¤্রাট বাদলের নামে প্রায় ২২’টি মাদক মামলা রয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জে শিমরাইল মোড়ে মাইক্রোষ্ট্যান্ডটি রয়েছে রাজুর দখলে।
এ ষ্ট্যান্ড থেকে মাসিক মাসোহারা পায় প্রায় ৪’লাখ টাকা। রাজু চাঞ্চল্যকর ৭’খুনের ঘটনাসহ বেশ কয়েকটি খুনের সাথে জরিত। তার কোন বৈধ আয় না থাকলেও নিজ নামে জায়গার উপর ৮’তলা ক্যাপসুল লিফট বিশিষ্ট ভবনসহ তার নামে বে নামে বহু জমির প্লটসহ বিপুল পরিমান নগদ অর্থের মালিক বনে গেছেন। উক্ত অবৈধ সম্পদের তথ্য দিতে পারবে না।
এমত অবস্থায় নাসিক ২নং ওর্য়্ডাবাসীকে আমিনুল হক রাজুর কবল থেকে রক্ষাকরা একার্ন্ত প্রয়োজন। এ বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নিতে পুলিশের মহা পরিদর্শক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।