ড. কামালের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, বিএনপি, জামায়াত ও ২০ দলীয় জোট নিয়ে বোমা ফাটালেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় মুক্তিমঞ্চের আহ্বায়ক ডক্টর কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম।
দ্য গ্রিন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ডক্টর কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম এমন অনেক বিষয় তুলে ধরেছেন যা বাংলাদেশের রাজনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটাতে পারে।
সাক্ষাৎকারে ডক্টর কর্নেল অলি আহমদ বলেছেন, ড. কামালের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে যে জোট গঠন করা হয়েছিল সেটা ছিল মূলত বিএনপিকে, নির্বাচনে নেয়ার জন্য। তাদের মিশন ছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটকে চিরতরে ক্ষমতার বাইরে রাখা। এর সাথে যুক্ত ছিল কিছু মেও মেও করা বিএনপি নেতারা।
কর্নেল অলি বলেন, আমাকে যখন ঐক্যফ্রন্টে থাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তখন আমি সরাসরি না করে দিয়েছিলাম। কারণ ড. কামাল হোসেন একজন নাম করা আইনজীবি। তার সাথে আইন পেশা মানায়, রাজনীতি নয়।
তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেন যেখানে সভা সমাবেশ হয়েছে সেখানে জয় বাংলা বলে শুরু করছে, জয় বঙ্গবন্ধু বলে শেষ করেছে। একটি বারও জিয়াউর রহমানের নাম এবং খালেদা জিয়ার নাম পর্যন্ত মুখে উচ্চারণ করে নাই। এই ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়েছিল মূলত বিএনপির সাথে প্রতারণা করার জন্য।
জামায়াত প্রসঙ্গে কর্নেল অলি বলেন, বর্তমানে জামায়াতে ইসলামিতে কোনো যুদ্ধাপরাধি নেই। এখন যারা নেতৃত্বে আছে তারা স্বাধীনতা বিরোধী নয়, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। জামায়াতের শীর্ষ নেতারা যখন জীবিত ছিল তখন বিএনপি জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করেনি। হঠাৎ করে বিএনপি কেন জামায়াতকে ছেড়ে দিচ্ছে তা আমার বোধগম্য নয়।
সাক্ষাৎকারে ডক্টর কর্নেল অলি আহমদ ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে যাদের দাওয়াত দেওয়া হয় তাদের যোগ্যতা ও গ্রহণ যোগ্যতা নিয়েও কথা বলেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পরে তিনি ২০ দলের কোন মিটিং এ যাননি এবং শেষের কয়েকটি মিটিং এ এলডিপির কোন প্রতিনিধি পাঠাননি বলেও জানান।