করোনায় ঠাকুরগাঁওয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে পশুর হাট গুলো। আসন্ন কোরবানী ঈদকে ঘিরে ঠাকুরগাঁওয়ে জমে উঠেছে পশুর হাট গুলো। কিন্তু সারাবিশ্বের মতো যখন বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ভয়াভয় আকার ধারণ করেছে ঠিক এই সময়ে কেউ কোনো স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই কোরবানীর পশু ক্রয়-বিক্রয়ে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ গুলো।
জেলায় পশুর হাট গুলোতে জেলা, উপজেলা, পুলিশ প্রশাসন সহ প্রাণিসম্পদ বিভাগের সদস্য ও কর্মকর্তারা কাজ করলেও তাদের তোয়াক্কা না করেই চলছে হাটগুলোতে পশু ক্রয়-বিক্রয়।
সদর উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ-আল-মামুন জানান, জনসচেতনতার জন্য হাট গুলোতে মাইকিং সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এবং যারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না তাদেরকে জরিমানা করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে করোনা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে তার পরেও মানুুষজন স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।
এখন স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃৃদ্ধি করা। এদিকে হাট গুলোতে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে জেলার ২৫টি হাটে ৮ টিম হাটের পশু গুলোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য কাজ করছেন বলে জানান, জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা সির্ভিল সার্জনের দেওয়া তথ্য অনুসারে জেলায় গত ২৭ জুলাই এপর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩৪৯ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২৩৭ জন রোগী এবং করোনায় মৃত্যু হয়েছে মোট ৬ জনের।