আর মাত্র একদিন পরেই ঈদুল আজহা। আর এই ঈদে পশু কোরবানিকে কেন্দ্র করে ব্যস্ততা বেড়েছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার কামারপট্টিতে। কামাররা দিনরাত পরিশ্রম করে চাপাতি, ছুরিসহ নানা সামগ্রী তৈরি করে দোকানে সাজাচ্ছেন। ক্রেতাদের ভিড়ও বাড়ছে দিন দিন।
আজ বৃহস্পতিবার কারওয়ান বাজার, শনির আখড়াতে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে। আগামী শনিবার সারা দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। কারওয়ান বাজারের কামারপট্টিতে ‘মা-বাবার দোয়া হার্ডওয়ার’ নামের একটি দোকানের মালিক মো. বজলুর রহমান তিনি বলেন, ‘কাল থেকে বিক্রি শুরু হয়েছে। হয়তো আগামী দুদিন বেশি ক্রেতা আসবে। তবে গ্রামে গিয়ে কোরবানি করবে এমন লোকেরাই এখনো পর্যন্ত কিনতে এসেছেন।
তিনি বলেন, ‘গতকাল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ২০ হাজার টাকা। অথচ বিক্রির কথা ছিল অন্তত ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা।’শনির আখড়ার একটি দোকানের বিক্রেতা রতন দত্ত বলেন, কয়েকদিন ধরেই কাজ ছিল না। কিন্তু এখন কাজের পরিমাণ বেড়ে গেছে। অনেকে ছুরি, চাপাতি কিনতে ও ধার দিতে আসছেন।
আজ ও শুক্রবার কাজের চাপ ও বিক্রি বেশি হবে বলে জানান তিনি।মেহেদী হাসান নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘গতকাল রাতেই কোরবানির পশু কিনে ফেলেছি। তাই আজ কোরবানি দেওয়ার ছুরি, চাপাতি ক্রয় করতে এসেছি।
তিনি বলেন, ‘অন্যবার মৌসুমি কসাইদের ছুরি, চাপাতি দিয়ে পশুর মাংস তৈরি হতো। কিন্তু এবার করোনার কারণে নিজেদের ছুরি ও চাপাতি দিয়ে পশুর মাংস তৈরির জন্য বের হয়েছি।’বিল্লাল নামের আরেকজন ক্রেতা বলেন, ‘এবারের কোরবানিটা ভিন্ন রকমের।
আনন্দ থাকলেও ভয়টা বেশি। তাই আজকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছি। ঈদের আগে আর ঘর থেকে বাহির হবো না।’ তিনি বলেন, দামা-দামি করে আগের দামেই ছুরি, চাপাতি ও দা কিনেছি।