সদ্য প্রত্যাহার টেকনাফের বিতর্কিত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান এ মাসের মধ্যেই শেষ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। এক বছরের বেশি সময় ধরে প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকী কারণের সম্পদের অনুসন্ধান করছে দুদক। এ বছরের শুরুতে দুদকের কাছে নিজের ও স্ত্রীর সম্পদের তালিকাও জমা দিয়েছেন তিনি। করোনার কারণে তার অনুসন্ধান স্থবির হয়ে পড়লেও এখন আবারো তৎপর হয়েছে দুদক।
ঘুষ, চাঁদাবাজি এমনকি ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে টেকনাফের সদ্য প্রত্যাহার ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে। ওসি থাকার ২ বছরে টেকনাফে ৮৭ জন গোলাগুলিতে নিহত হয়েছে। এ তালিকায় সবশেষ নাম মেজর সিনহা।
২০১২ সাল থেকে এ পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন থানা থেকে তিন বার প্রত্যাহার ও একবার বরখাস্ত হয়েছেন প্রদীপ। হিন্দু বিধবার জমি ও চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে বোনের জমি দখলের অভিযোগও রয়েছে এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। টেকনাফ-কক্সবাজারের একডজন ব্যক্তির কাছ থেকে ৬৭ লাখ টাকার চাঁদাবাজীর সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। যার মধ্যে ৩ প্রতিনিধি আর এক আওয়ামী লীগ নেতা রয়েছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব দিলোয়ার বখত জানান, নামে বেনামে কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন প্রদীপ। এর মধ্যে স্ত্রীর নামে চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় ছয়তলা বাড়ি, ষোল শহরে ১০ শতকের প্লট, কক্সবাজারে ফ্লাট ও দুই গাড়ির হিসেব দুদকে জমা দিয়েছেন। আর নিজের নামে ২টি অস্ত্র, ১৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ১০ লাখ টাকার ওয়েজ আর্নার্স বণ্ড ও কক্সবাজারের উত্তরণ প্রকল্পে ৩ কাঠা জমি দেখানো হয়েছে। তবে অভিযোগ অনুযায়ী আরো সম্পদ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে দুদক। তবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি দেখা হচ্ছে।
৩১ জুলাই ওসি প্রদীপের নির্দেশে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহাকে হত্যার অভিযোগ ওঠার পর, তার দুর্নীতির অনুসন্ধানে আবার তৎপর হয়েছে দুদক। প্রদীপ ছাড়াও আরো শতাধিক পুলিশ সদস্যের দুর্নীতির অভিযোগও খতিয়ে দেখছে দুদক।