রাজশাহীর তানোরে ক্ষমতাসীন দলের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বিভিন্ন সভা সমাবেশে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরুত্ব এবং মাস্ক ছাড়াই দেদারসে চালিয়ে যাচ্ছেন শোকের মাসে প্রস্তুতি সভাসহ জাতির পিতার পরিবারের শাহাদাৎ বার্ষিকীতে কোন কিছুই মানছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।
আবার সেই সভার ছবি নিজের ফেসবুক আইডিতে পোষ্ট করে সমালোচনার পাত্রে পরিণত হচ্ছেন নিজেই। তিনি গত ৯ আগস্ট উপজেলার পাচন্দর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সভা করেন। সেই সভার ছবি নিজের নামের ফেসবুক আইডিতে পোষ্ট দিলে ভাইরাল হয়ে পড়ে। সভায় সামাজিক দুরুত্বের বালায় নেই।
এমনকি অথিতি ছাড়া অন্য কারো মুখে মাস্ক পর্যন্ত তেমন একটা দেখা যায়নি। অথচ জেলায় এবং এউপজেলায় দিনের দিন করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও কোন ধরনের গুরুত্ব নেই চেয়ারম্যানের। তাঁর সভার চিত্র দেখলে যে কেউ বলবে করোনা নামক কোন ভাইরাস নেই এলাকায়। এসব সভার মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারন করার আগেই প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেবার জোরালো দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
জানা গেছে চলতি মাসের ৯ আগস্ট রোববার বিকেলের দিকে পাচন্দর ইউপি আ”লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে জাতির পিতার পরিবারের শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ইউপির নেতাকর্মীসহ উপকার ভোগী অনেক মহিলাকে গাদাগাদি করে বসে থাকতে দেখা যায়। সভায় বেশির ভাগ আসা ব্যাক্তিদের মুখে মাস্ক তো ছিলই না এবং স্বাস্থ্যবিধি সামাজিক দুরুত্বের কোন অবস্থাও দেখতে পাওয়া যায়নি ।
সভায় ইউপি চেয়ারম্যান ইউপি আ”লীগের সভাপতি আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে প্রধান অথিতি ছিলেন উপজেলা আ”লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খাদেমুন নবী বাবু চৌধুরী, বিশেষ অথিতি ছিলেন পরিষদের চেয়ারম্যান যুবলীগ সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না, জেলা আ”লীগ নেতা শরিফ খানসহ ইউপির নেতাকর্মীরা। এছাড়াও ১০ আগস্ট সোমবার বিকেলের দিকে কামারগাঁ ইউপি আ”লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে মাদারিপুর বাজার দলীয় কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইউপি আ”লীগের সভাপতি ফজলে রাব্বি ফরাদের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক সুফি কামাল মিন্টুর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন পরিষদ চেয়ারম্যান ময়নাসহ নেত্রীবৃন্ধু। প্রস্তুতি সভা হলেও উপজেলা আ”লীগের সভাপতি মেয়র গোলাম রাব্বানীর মৃত বাব দাদা সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের মৃত পিতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মুসলেম উদ্দিনকে নানা কুৎসিত ভাষায় গালমন্দ করেন সভায় আসা ব্যাক্তিরাই জানান। এসভাতেও মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরুত্ব।
সচেতন মহল মনে করেন উপজেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা প্রায় একশোর মত এবং দিনের দিন এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দলীয় সভা করতে পারে কিন্তু সরকারী নির্দেশনা স্বাস্থ্যবিধি কিছুই মানা হচ্ছেনা। এভাবে চলতে থাকলে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যেতে পারে এজন্য এসব বিষয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এনিয়ে পাচন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউপি আ”লীগ সভাপতি আব্দুল মতিনের ব্যাক্তিগত মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমি প্রচণ্ড অসুস্থ কথা বলতে সমস্যা হচ্ছে বলে এড়িয়ে যান।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার ব্যাক্তিগত ০১৭১৬-৩৮৯৯৬০ এই মোবাইল নম্বরে ফোন দেয়া হলে রিসিভ করেননি।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রোজিয়ারা খাতুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসব ব্যাপারে প্রশাসন দেখভাল করবেন।
এবিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতোর সরকারী ০১৭৭৮-৮৮৯৯৯০ মোবাইলে নম্বরে ফোন দেয়া হলে রিসিভ না করায় কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।