রাজশাহীর তানোর উপজেলার সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নাম্বর ওয়ান ইয়াকুব আলী (৩৮) নামে এক দালালকে আটক করে ৩ মাসের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সে তানোর পৌরশহরের জিওল এলাকার ইসাহাক আলীর ছেলে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো।
ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, ইয়াকুব আলী দীর্ঘদিন থেকে অফিসের বিভিন্ন তথ্য কৌশলে ফটোকপি ও খাজনা-খারিজে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে আসছিল। এব্যাপারে বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীরা ইউএনও’কে মৌখিকভাবে জানান। অবশেষে গতকাল সোমবার সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও তাঁর বিরুদ্ধে উপস্থাপিত অভিযোগের সত্যতা হাতেনাতে পায় ইউএনও সুশান্ত। এ সময় ইয়াকুবকে আটক করে পৌরসদরের জিওল মোড়ে তার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে খাজনা-খারিজের বিপুল সংখ্যক নথি জব্দের পাশাপাশি ওই দোকান সিলগালা করেন ইউএনও।
পরে ইয়াকুব আলীকে ৩ মাসের কারাদন্ডে দন্ডিত করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ইউএনও সুশান্ত কুমার মাহাতো এ রায় দেন। আলিম নামের উপজেলার বিল্লি এলাকার আরেক দালাল রয়েছেন। যিনি কলমা ইউপির দর্গাডাঙ্গা তহসিল অফিস সহ ভুমি অফিসের অন্যতম সেরা দালাল। তাকেও ইয়াকুবের মত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। পৌর সদর হিন্দুপাড়াগ্রামের উত্তম নামের আরেক দালাল রয়েছে গ্রামবাসী তাকেও গ্রেফতারের জোরালো দাবি জানিয়েছেন।
ইউএনও সুশান্ত কুমার বলেন, ইয়াকুব দীর্ঘদিন থেকে এলাকার বিভিন্ন মানুষদের কাছ থেকে ভূমি অফিসের কাজ করে দেয়ার নাম করে বাড়তি অর্থ আদায় করে আসছিলেন। সে ভূমি অফিসের কেউ নন। সে একজন প্রকৃত দালাল। আর ভূমি অফিসে দালালদের কোন জায়গা নেই। ইয়াকুবকে সাজা দেওয়া হয়েছে এবং দালালদের জন্য সাজা দেওয়ার এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তানোর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) রাকিবুল ইসলাম। ওসি বলেন, সোমবার বিকেলে আইনী প্রক্রিয়া শেষে সাজাপ্রাপ্ত ইয়াকুবকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।