ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের নিজবানাইল গ্রামের মৃত ইন্দর খাঁ’র পুত্র পুঙ্গু হরমুজ খাঁ তার আপন ভাই ও ভাতিজার অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে এক গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। হরমুজ খা’র ভাই জমশেদ খা ও ভাতিজা কায়কোবাদ ও রাশেদ খা’র শারীরিক নির্মম অত্যাচারে পা হারিয়ে বর্তমানে পুঙ্গু হয়ে পড়েছেন হরমুজ খাঁ। এরপরেও ক্ষান্ত হয়নি বড় ভাই জমশেদ খা ও তার পরিবার।
নিজেকে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের বড় নেতা দাবী করে এলাকায় বাহাদুরি চালায়। শুক্রবার (২১শে আগস্ট) জমশেদ খা’র স্ত্রী মালেকাকে দিয়ে উপুর্যপরি হামলা চালায় জমশেদ খা। এতে করে হরমুজ খা ও তার স্ত্রী শারমিনকে শ্লীলতাহানি, মারধর ও বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাংচুর করে। শুধু তাই নয় হরমুজ খা’র শিশু সন্তানকেও ভয় দেখায় এবং বাড়ি ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য হুমকী দেয় জমশেদ খা’র পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, হরমুজ খাঁ ও জমশেদ খা’র বাবা-মা মারা যাওয়ার পর থেকেই পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে আপন দুই ভাইয়ের মধ্যে ঘটে নানা ধরনের বিপত্তি। হরমুজ খা’র পরিবারে সংসারের হাল ধরার মতো কেউ নেই। পুঙ্গু হরমুজ খা দুই শিশু সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে কোনমতে দিনযাপন করছে। হরমুজ খা’র স্ত্রী শারমিন আক্তার ওরফে মদিনা জানান, আমার স্বামীর বড় ভাই এবং তার ভাতিজারা জোরপূর্বকভাবে আমার স্বামীর পৈত্রিক সম্পত্তি দখলে নিতে এবং আমাদেরকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে নানা ধরনের পায়তারা-ষড়যন্ত্র করে আসছে।
এ বিষয়ে পুঙ্গু হরমুজ খা জানান, ‘একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ ও প্রশাসনের দারস্থ হয়েও আমি এর সুবিচার পায়নি।এখন আমি উর্ধ্বতন প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি। অপরদিকে অভিযুক্ত জমশেদ খা- ভাইকে পুঙ্গু বানানোর বিষয়টি স্বীকার বলেন, আমার ভাই মীমাংসা যেতে রাজি নয়। এতে আমার কিছুই করার নেই। ”চন্ডীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক ভুইয়া জানান, “উক্ত দুই পরিবারের গোলযোগের কথা স্বীকার করে বলেন, পূর্বেও এই জমশেদ খা ও পুত্ররা হরমুজ খাকে মেরে প্রতিবন্ধী বানিয়েছে। এর সঠিক বিচার হওয়া দরকার।