বাংলাদেশে বেসরকারী পর্যায়ে উচ্চ শিক্ষার পথ প্রদর্শক এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে র্যাঙ্কিং এ প্রথম স্থান অধিকারী নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস’২০২০ পালন উপলক্ষ্যে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক এবং বিশিষ্ট টিভি উপস্থাপক জনাব জামিল আহমেদ এর সঞ্চালনায় এবং উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন, এম. পি. এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই এর প্রাক্তন সভাপতি এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান জনাব এম. এ. কাসেম।
অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীরপ্রতীক এবং দৈনিক সমকাল এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জনাব মুস্তাফিজ শফি। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ ইসমাইল হোসেন। আলোচনা সভাটি ডিবিসি নিউজ এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন, এম. পি বলেন, আজ বাংলাদেশ নামক যে রাষ্ট্র সেটার জন্ম হতো না যদি বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হতো। বঙ্গবন্ধুর সবথেকে বড় কৃতিত্ব হল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, তিনি আরেকটি কাজ করে গেছেন তা হল আমাদের হৃদয়ে সোনার বাংলার স্বপ্ন বপন করা। তার স্বপ্ন ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ যেখানে ধনী-দরিদ্রের আকাশ সমান ব্যবধান থাকবে না, যেখানে অন্ন বস্ত্র বাসস্থান শিক্ষা ও সেবা সবার জন্য নিশ্চিত করা হবে।
কিছু দুষ্কৃতকারী বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে কিন্তু তাঁর আদর্শ, তার স্বপ্ন আমাদের চলার পথের পাথেয় হয়ে আছে। আমাদের বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে এবং তার অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়তে হবে। একটি জাতির জন্য যা যা করার দরকার তিনি সব করেছেন। আজ বাংলাদেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার এশিয়ার মধ্যে সবথেকে বেশি যার কৃতিত্ব বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার। এ সময় তিনি আরো বলেন, মুজিববর্ষের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনাব এম. এ. কাসেম বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন দেখেছিল একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষের মাঝে মুক্তির যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যকে জয় করে বিশ্বসভায় একটি উন্নয়নশীল মর্যাদাবান জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। একটি দেশ পরিচালনার সব দিক নির্দেশনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান দিয়ে গিয়েছেন। আমাদের সবার বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করেসরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাই একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যেতে হবে।
এসময় তিনি উল্লেখ করেন, নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে।জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাতে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি সকল মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সম্পূর্ণ বিনা বেতনে অধ্যায়নের সুযোগ প্রদান করে থাকে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীরপ্রতীক বলেন, একজন নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু আদর্শ ছিলেন। তিনি স্বপ্ন দেখতেন এদেশের হতদরিদ্র, অবহেলিত ও অত্যাচারিত মানুষদের জন্য কিছু করার। সেই স্বপ্ন থেকেই একটি সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে তিনি এ দেশ স্বাধীন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণে একটি দেশ পরিচালনার সব নির্দেশনা ছিল।
ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণকে ঐতিহাসিক ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই দিনে আমাদের শোকের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুকে বুঝার চেষ্টা করতে হবে, মন দিয়ে অনুধাবন করতে হবে এবং তার দেখানো পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
জনাব মুস্তাফিজ শফি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির রক্তের সাথে মিশে আছে, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি অসাম্প্রদায়িক বৈষম্যহীন দেশ গড়ে তুলার, যেখানে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ থাকবে না, ধনী-গরিবের বৈষম্য থাকবে না। আমাদের সবার বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মেনে চলে কাঁধে কাঁধ রেখে সবাই মিলে একটা সুন্দর দেশ গড়ে তুলতে হবে।
অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বলেন, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সম্পূর্ণ বিনা বেতনে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে অধ্যায়নের সুযোগ দেয়া হয়।
এছাড়াও ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক , গবেষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ, গণমাধ্যমের প্রতিনিধিবৃন্দ সহ আরও অনেকে।