রাজশাহীর তানোর উপজেলা কামারগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতলা ভবন নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই ফাটল দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে করে ভবনের টিকসই নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন, সেই সাথে ঠিকাদার কামারগাঁ এলাকার সেকান্দারের বিরুদ্ধে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
স্থানীয়রা জানান দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর উপজেলার কামারগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলা ভবন নির্মাণের দরপত্র আহবান করেন জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। দরপত্রের মাধ্যমে ১ কোটি ১ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজটি পান রাজশাহী মহানগরীর হাসান নামের ঠিকাদার। তাঁর কাছ থেকে অগ্রিম লাভ দিয়ে শহরের সঞ্জয় ও কামারগাঁ এলাকার সেকান্দার নামের ঠিকাদার কিনে কাজ টি করেন।
এলাকার বেশ কিছু ব্যাক্তিরা জানান, সেকান্দার স্থানীয় ঠিকাদার হবার কারনে নিম্মমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করলেও কেউ কিছু বলতে পারছেনা। তাছাড়া ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হতেই দেখা দিয়েছে কয়েক জায়গায় ফাটল। তাকে বা দপ্তরের কোন কর্মকর্তাকে আমরা আসতে দেখিনি কাজ দেখতে। স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের আলম নামের এক ব্যাক্তি কাজের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অগ্রিম লাভ দিয়ে কাজ করার কারনেই এত অনিয়ম হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।
ঠিকাদার সেকান্দার কাজ কিনে করার কথা স্বীকার করে জানান, আমি কাজটি করতে রাজি ছিলাম না। কিন্তু তৎকালীন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফার অনুরোধে কাজটি করছি। ভবনে ফাটল কাজের জায়গায় কাউকে দেকছিনা এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। উপসহকারী প্রকৌশলী বর্তমানে বগুড়া জেলায় কর্মরত।
তাঁর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমি কেন কাজ কিনে দিব। আর এসব বিষয়ে অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ঠিকাদার সেকান্দারের সাথে যোগাযোগ করে ফাটলের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান কয়েক জায়গায় সামান্য ভাবে ফাটল ধরেছে সেটা ঠিক করা হবে। কাজ সম্পন্ন না হতেই ফাটল হল কিভাবে জানতে নানা ধরনের কথা বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
কাজের ম্যানেজার আলম জানান আমাকে যে ভাবে বলেছে সে ভাবেই কাজ করছি। কাজের শিডিউল আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান শিডিউল কি হবে এসব কাজের অভিজ্ঞতা আছে বলে দায় সারেন।
কামারগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত রায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এসব ফাটলে তেমন সমস্যা হবেনা।চলতি বছরের গত মার্চ মাসে উপ সহকারী প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা কাজ দেখতে এসে নিয়ম মত করতে বলেন।
এবিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তানোরের অতিরিক্ত দায়িত্বে থানা উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান এটি ভাটিক্যাল ভবন নির্মাণ ও সাংস্কার চলমান রয়েছে। দ্বিতীয় তলা নতুন ভাবে নির্মাণ করা হয়েছে সেই ভবনেই ফাটল দেখা দিয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান কাজ শেষ হয়নি চলমান রয়েছে বলে দায় সারেন এই কর্মকর্তা। অথচ ভবন নির্মাণ শেষ হওয়ার পর এখন রঙয়ের ও বিদ্যুৎ লাইনের কাজ চলছে।