খুলনার মশিয়ালি এলাকায় তিনজনকে গুলি করে হত্যা মামলার তদন্তে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। দেড় মাসে মামলার এজাহারভুক্ত ২২ আসামির মধ্যে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ছয়জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। তবে মামলার প্রধান তিন আসামির মধ্যে দু’জন এখনও পলাতক। তাদের ধরতে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আশপাশের জেলাগুলোতে অভিযান চালিয়ে বহিস্কৃত ছাত্রলীগ নেতা শেখ জাফরিন হাসান, জাহাঙ্গীর, রহিম বপ, আরমান, আলমগীর, মিঠু, মুরাদ, জুয়েল, রবিন ও বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে জাফরিন, জাহাঙ্গীর, আলমগীর, মুরাদ, জুয়েল ও রবিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এ ছাড়া জাফরিনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঘটনাস্থল থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়েছে। তবে মামলার প্রধান দুই আসামি বহিস্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা শেখ জাকারিয়া ও তার ভাই মিল্টনকে এখনও পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। জাফরিন, জাকারিয়া ও মিল্টন তিন ভাই। পুলিশ জানায়, স্থানীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি হতে চেয়েছিলেন শেখ জাকারিয়া; কিন্তু স্থানীয়রা এর বিরোধিতা করেন। এ নিয়ে তাদের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন জাকারিয়া ও তার দুই ভাই।
গত ১৬ জুলাই বাসায় অস্ত্র রেখে স্থানীয় বাসিন্দা মুজিবুর রহমানকে পুলিশে ধরিয়ে দেন জাকারিয়া। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গেলে গ্রামবাসীর ওপর গুলি চালান জাকারিয়ার লোকজন। তাদের গুলিতে পাটকল শ্রমিক নজরুল ইসলাম, দিনমজুর গোলাম রসুল ও কলেজছাত্র সাইফুল ইসলাম নিহত এবং আরও সাতজন আহত হন।
১৮ জুলাই নিহত সাইফুলের বাবা শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উলে¬খ ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৬ জনের বিরুদ্ধে খানজাহান আলী থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক এনামুল হক বলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই হত্যাকা-ের কারণ উদ্ঘাটন হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।