ইজিবাইক ও মাহেন্দ্রায় করোনার অজুহাতে বাড়ানো বর্ধিত ভাড়া কোন ভাবেই কমছে না। একদিকে করোনা ভাইরাস আর অন্যদিকে যাত্রী কম নেওয়ার কথা বলে পকেট কাটছে যাত্রীদের। সরকারি আদেশ অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশি¬ষ্টরা।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর ২৪ মার্চ থেকে বন্ধ করা হয় সকল ধরণের গণপরিবহন। পরে ভাড়া বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ০১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালু করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। মাহেন্দ্রা ও ইজিবাইককেও আসন খালি রেখে যাত্রী পরিবহনের জন্য বলা হয়। প্রথমে কয়েকদিন ঠিক থাকলেও বর্তমানে তা দৃশ্যমান নেই।
যাত্রীদের জিম্মি করেই আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।সরেজমিন খুলনা মহানগরীতে চলাচলরত ইজিবাইক, মাহেন্দ্রার বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করতে দেখা যায়। খালি রাখা হয় না কোন সিট। এ বিষয়ে কথা বললে নামিয়ে দেওয়ার মতোও দুঃসাহস দেখান চালকরা কতিপয় ইজিবাইক চালকরা যাত্রীদের সাথে ভাড়া নিয়ে হাতা-হাতি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খুলনা থেকে দৌলতপুরগামী যাত্রী জাহান আলী আজ বুধবার সকালে এই প্রতিবেদক কে বলেন, এখন করোনার কথা বলে লোকও বেশি নিচ্ছে টাকাও দ্বিগুণ নিচ্ছে।
৫ টাকার ভাড়া ১০ টাকা চালু হওয়ার পর এখন স্বাভাবিক হয়ে গেছে। মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থেকে ইজিবাইকে উঠা শিফালী খাতুন বলেন, আগে সোনাডাঙ্গা থেকে শিববাড়ী ৫ টাকা নিলেও এখন লোক কম নেওয়ার কথা বলে ১০ টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু লোক কম নেয় না আগের মতো পরিপূর্ণ থাকে। খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, সরকারি আদেশ অমান্য করা হলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান।