বাগেরহাটের শরণখোলায় প্রতারণার উদ্দেশ্যে গড়ে তোলা অবৈধ সুন্দরবন লর্ড প্রজাস্বত্ব এস্টেটের অফিস সিলগালা ও সাইনবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল বুধবার বিকেলে শরণখোলা উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজার পাঁচরাস্তা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এস্টেটের অফিসকে সিলগালা ও সাইনবোর্ড অপসারণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহীন।
স্থানীয়রা জানান, মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া গ্রামের আঃ সামাদ হাওলাদার দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে সুন্দরবন লর্ড প্রজাস্বত্ব এস্টেটের উত্তরাধীকারী (মালিক) হিসেবে দাবি করে আসছেন। বিভিন্ন লোককে সুন্দরবন, উপকূলীয় অঞ্চলেরর বিভিন্ন জমি দলিল করে দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করে আসছেন।
এর ধারাবাহিকতায় সোমবার (২৪ আগষ্ট) শরণখোলা উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারের পাঁচরাস্তা এলাকায় সুন্দরবন লর্ড প্রজাস্বত্ব এস্টেটের অফিস উদ্বোধন করেন। অফিসের সামনে সাইনবোর্ডও স্থাপন করেন তিনি। এর ফলে সাধারণ মানুষের মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসলে তারা অফিস কক্ষটিকে সিল গালা করে দেন। সুন্দরবন লর্ড প্রজাস্বত্ব এস্টেটের মালিক দাবীদার আঃ সামাদ হাওলাদার বলেন, জমিদারী আমলের কাগজপত্র ও আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এ অঞ্চলের জমির মালিক আমি। এখানে কারও বসবাস করতে হলে আমার কাছ থেকে সবার নতুন করে জমি বন্দোবস্ত নিতে হবে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন জানান, বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ। এখানে কোন জমিদারী প্রথা নেই। এই দেশের সকল জমির মালিক সরকার। কিন্তু আমরা খবর পাই জনৈক আঃ সামাদ হাওলাদার তথাকথিত সুন্দরবন লর্ড প্রজাস্বত্ব এস্টেটের নামে রায়েন্দা বাজারে একটি অফিস করেছেন।
তিনি খুলনা, সাতক্ষিরা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি ও বাগেরহাট অঞ্চলের সকল জমির মালিকানা দাবি করছেন। বাংলাদেশের কোন আইন তিনি মানতে রাজি না। যা এক ধরণের রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ। আমরা প্রাথমিকভাবে তার অফিস সিলগালা ও সাইনবোর্ড অপসারণ করেছি। তখন তিনি ওই অফিসে ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, উপজেলার সাধারণ জনগনকে এই প্রতারকের হাত থেকে বাঁচাতে এটাকে অবৈধ ও আইন বিরোধী বলে মাইকিং করা হয়েছে। সকলকে এই অবৈধ সুন্দরবন লর্ড প্রজাস্বত্ব এস্টেট সম্পর্কে সতর্ক থাকার অনুরোধ করা হয়েছে।