লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির- এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন
করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল রাজধানীর গ্রিন লাইফ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধিন অবস্থায় সোমবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে ইন্তেকাল করেন।
ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল কর্মজীবনে একজন রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। পরে এর সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়াও তিনি বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উপদেষ্টা ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ইসমাইল হোসেন বেঙ্গলের রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ গঠিত প্রথম দল জনদলের মাধ্যমে। এই দলের এক নম্বর প্রতিষ্ঠাতা ও সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এরই মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয়। পরে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি দলে যোগ দেন এবং এই দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৮ সালের নির্বাচনে সাবেক চাঁদপুর-৬ (বর্তমানে চাঁদপুর-৪) এবং ঢাকা-১০ (রমনা) আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পান। জাতীয় পার্টির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চিফ কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯১ সালের নির্বাচনে। পরবর্তীতে তিনি বিএনপিতে যোগ দিয়ে দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন বেঙ্গলের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির সভাপতি ডক্টর কর্নেল অলি আহমদ বীর বিক্রম (অব.)।
শোকবার্তায় ডক্টর কর্নেল অলি আহমদ বীর বিক্রম (অব.) বলেন, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ইসমাইল হোসেন বেঙ্গলের অবদান অক্ষয় হয়ে থাকবে। দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তার অবদানকে জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।