রাজশাহীর তানোর উপজেলার আ”লীগের সভাপতি মুণ্ডুমালা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানী ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ তাদের অনুসারীদের কোন ধরনের সভা সমাবেশ করতে দেয়া হবেনা বলে হুশিয়ারি করে দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুবলীগ সভাপতি সাংসদ ভাতিজা লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না।
৩১ আগস্ট সোমবার তাঁর সরকারী বাস ভবনে বার্ষিক বর্ধিত সভার বিশেষ অথিতির বক্তব্যে তিনি বলেন সংসদ সদস্য ওমর ফারুক কে লাগবে না আমি চ্যালেঞ্জ করে পরিষ্কার ভাবে বলে দিচ্চি গোলাম রাব্বানী ও মামুন কে উপজেলার কোন জায়গাতে সভা করতে দেওয়া হবে। তাদেরকে জব্দ করতে আমি ও আমার যুবলীগ যথেষ্ঠ বলে হুশিয়ারি করে দেন । এমপিতো দূরে থাক কোন জায়গায় সাহস থাকলে সভা করে দেখাক কত ধানে কত চাল বুঝিয়ে দেয়া হবে।
সভাটি শুরু হয় বিকেলের দিকে। চলে রাত্রি প্রায় নয়টা পর্যন্ত। চেয়ারম্যান ময়নার বক্তব্যের লাইভ ভিডিও প্রায় সাড়ে সাতটির দিকে সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ফেসবুকে পাওয়ার সাথেসাথে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন নেতাকর্মীরা।
এর আগেও জাতীয় শোক দিবস ও গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ সভায় সাংসদ তাঁর ভাতিজা চেয়ারম্যান ময়নাসহ তাদের অনুসারীরা যেখানেই রাব্বানী মামুনের সভা সেখানে হবে হামলা। অথচ উপজেলা আ”লীগের সভাপতি দুইবারের পাচন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুইবারের মুণ্ডুমালা পৌরসভার মেয়র ক্লিন ইমেজের সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগত আ”লীগ রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে যোগ্যতার মাপকাঠিতে সভাপতি হন গোলাম রাব্বানী এবং ছাত্রলীগ রাজনীতি থেকে শুরু করা তরুণ বয়সেই কামারগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এদিকে মেয়র রাব্বানীর এক বক্তব্যে জেলা জুড়ে প্রশংসায় ভাসছেনলেন নি জাতীয় শোক দিবস ও সিরিজ বোমা এবং গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে মুণ্ডুমালা পৌর হলরুমে আয়োজিত আলোচনা দোয়া মাহফিলে বলেন প্রয়াত শ্রদ্ধাভাজন সাফিউল চেয়ারম্যান আমাকে বলেছিলেন চৌধুরী দলে নিয়ে এসোনা। কারন এরা মানুষকে শোষণ করেন। যার প্রতিফলন আ”লীগ দেখছে। দল মনে হচ্ছে তাদের বাব দাদার তৈরি কৃত সম্পত্তি।
তাঁরা হুমকির রাজনীতি শান্তিপ্রিয় উপজেলা বাসির মধ্যে দিচ্ছেন। যার ফল তাদেরকেই একদিন ভোগ করতে হবে। আমার এসব বক্তব্য ফেসবুকে লাইভ দেওয়ার পর গোদাগাড়ীর আট থেকে দশ জায়গায় বড় ধরণের পিকনিক হয়েছে। আমরা চরম আতঙ্কে দিন পার করছি । কারন সংসদ ভোটের সময় গণসংযোগে আমাকে হত্যার জন্য তাদের লোকজন হামলা চালিয়ে ছিল। নিরবতা মানে পরাজিত না। হুমকি দেয়া বন্ধ করুন কয়টা নেতাকর্মী পাবেন দেখেন।
সভায় থাকা বেশকিছু নেতারা জানান এসব বক্তব্য দিয়ে কিছু হাত তালি পাওয়া যায় ও মুখ দিয়ে বাগ মারা যায়। কিন্তু বাস্তবটা কত কঠিন সেটা মনে হয় তাঁর জানা নাই।
উপজেলা আ”লীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করে জানান ক্ষমতার চেয়ার আছে বলেই জ্ঞানহীন বক্তব্য দেয়া ঠিক না।সভায় যাওয়ার জন্য আমার উপরে ব্যাপক চাপ ছিল কিন্তু যায়নি। কথায় আছে বাশের চেয়ে কঞ্চি বড়। তাঁর অবস্থাও এরকম হয়েছে।
এবিষয়ে সভার সভাপতি খাদেমুন নবী বাবু চৌধুরীর ব্যাক্তিগত ০১৭১৬-৭২৮৭৯১ নম্বরে যোগাযোগ করে বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে এড়িয়ে গিয়ে তিনি জানান আসলে উৎখাতের কথা বললেও সে ভাবে বলেনি। রাব্বানী মুণ্ডুমালায় এক সভায় সাংসদের উদ্দশ্যে নানা ধরনের কথা বলার কারনেই এমন বক্তব্য দিয়েছে ময়না চেয়ারম্যান। একজন যুবলীগের নেতা হয়ে আ”লীগ নেতাদের সম্পর্কে এসব বলতে পারেন কিনা জানতে চাইলে একই ধরনের কথা বলেন।
সাংসদ ফারুক চৌধুরীর মোবাইলে ফোন দেয়া হলে ধরেন নি এবং তাঁর ভাতিজা লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা আ”লীগের সভাপতি মেয়র গোলাম রাব্বানী, সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, যুবলীগ নেতার এমন বক্তব্য অত্যান্ত দুঃখজনক। তিনি আমাদের নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা সংগঠনের নীতি আদর্শ বিরোধী।
আসলে রাজনীতি করতে হলে পড়ালেখা করতে হয় গঠনতন্ত্র সম্পর্কে জানতে হয়। আজ তাঁর কাছে উপজেলা পরিষদের চেয়ার আছে এজন্য ক্ষমতার দাপটে অহংকারে এধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন। মনে রাখতে হবে ক্ষমতা চিরস্থায়ী না। এর জবাব আমরা না উপজেলার আ”লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ত্যাগী পরিক্ষিত নেতারাই দিবেন।