রাজশাহী জেলা আ”লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আসাদ বলেন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা দৃশ্যমান করে তুলেছেন তাঁর কন্যা দেশরতœ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির পিতা বলেছিলেন বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত, আজ সেটা প্রমান করেছেন বঙ্গ কন্যা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ স্বপরিবারে হত্যা করে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ মুছে ফেলতে চেয়েছিল স্বাধীনতা বিরোধীরা।
৭৫এর পর ৭ই মার্চের ভাষণ প্রকাশ্যে বাজানো যেতনা। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধের সপক্ষের মানুষগুলো ঘরের ভিতর টেপ ক্যাচেটে ভাষণ শুনলেও প্রশাসন বাজাতে দেয়নি। সেই ৭ই মার্চের ভাষণ এখন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। প্রামান্য দলিল হিসেবে ইউনসকো কর্তৃক স্বীকৃত এই ভাষণ। পঞ্চাশ বছর হতে চললেও সেই ভাষণে রয়েছে সব দিকনির্দেশনা।
এখনো সেই ভাষণ মানুষের রক্তে আগুন ধরিয়ে দেয়। জাতির পিতা বলেছিলেন বয়স্ক বিধবারা অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাবেনা,বই অভাবে কোন শিক্ষার্থীর স্কুল যাওয়া বন্ধ হবে না, গর্ভবতী মায়েদের দেয়া হবে পুষ্টিকর খাবার ভাতা। আজ সেই কাজও করে যাচ্ছেন দেশরতœ।বিশ্বের কোন দেশ নেই একসাথে প্রতিটি উপজেলায় মডেল মসজিদ তৈরি হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা সেটা করেছেন।ইমাম মুয়াজ্জিমদের ভাতা দিয়েছেন।
শিক্ষকদের মাঝে বৈষম্য দূর করেছেন। নিজ অর্থে পদ্মা সেতু তৈরি হয়েছে। প্রতিটি ঘরেঘরে বিদ্যুৎ পৌছেছে। আমি অনুরোধ করব বিএনপির শাসন আমল এবং আ”লীগের শাসন আমল নিজের বিবেক দিয়ে বিচার করুন। শেখ হাসিনার দার্শনিক নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। যেখানে জাতি সংঘ ৭ই মার্চের ভাষণ সাতটি ভাষায় প্রচারিত করছেন।
আমি আহবান জানাবো দলমত নির্বিশেষে সকলেই এই ৭ই মার্চের জাতীয় দিবস পালন করবেন। তিনি রবিবার তানোর উপজেলা আ”লীগের আয়োজনে ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস শীর্ষক আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। তিনি আরো বলেন তানোরের আগামীর রাজনীতি হবে রাব্বানী মামুনের নেতৃত্বে ত্যাগী পরিক্ষিত দের দিয়ে। আপনারা হাইব্রিড থেকে দূরে থাকবেন। আমার বিশ্বাস বিশ্ব নেত্রী ত্যাগী পরিক্ষিতদের বেশি মুল্যায়িত করবেন।
যেহেতু তাদের একান্ত প্রচেষ্টায় ২৬ বছরের ইতিহাস ভেঙ্গে তানোর পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আ”লীগ থেকে।সেহেতু তাদেরমত ত্যাগী পরিক্ষিত মুজিব সৈনিক নেই বললেই চলে। উপজেলা আ”লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র গোলাম রাব্বানীর সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল সরকার পাপুলের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, মেয়র ইমরুল হক, মুণ্ডুমালার মেয়র সাইদুর রহমান, কামারগাঁ ইউপির চেয়ারম্যান মুসলেম উদ্দিন প্রামানিক, পৌর যুবলীগের সভাপতি রাজিব সরকার হিরো।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ, জেলা আ”লীগ নেতা মেরাজ উদ্দিন মেরাজ, উপজেলা আ”লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, ত্রান বিষয়ক সম্পাদক তোফাজ্জুল হক খান,সরনজাই ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি তুষার, আ”লীগ নেতা রেজাউল ইসলাম, বাচ্ছু মোল্লা, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক কাউন্সিলর আরব আলী, পৌর সভাপতি কাউন্সিলর ইন্তাজ মোল্লা,পাচন্দর ইউপির সাধারন সম্পাদক সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজেন কর্মকার, চান্দুড়িয়া ইউপির সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা শরিফুল ইসলাম, পৌর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ওহাব সরদার, সোহেল রানা, দুলাল মণ্ডল প্রমুখ।
এসময় সাত ইউপি ও দুই পৌরসভার বিভিন্ন স্তরের শতশত নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সভাপতির বক্তব্যে রাব্বানী স্থানীয় সাংসদের উদ্দেশ্যে বলেন আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আসুন সব কিছু ভুলে এক কাতারে এসে কাজ করি। অনেক হয়েছে আর না ।
দাম্ভিকতা ছেড়ে ভালোবাসার সম্প্রীতি মূল্যায়নের রাজনীতি করি সবাই মিলে। দাপট দেখিয়ে সাময়িক ভালো থাকা যায়। চিরস্থায়ী ভাবে রাজনীতির মাঠে ভালোবাসা সৌহার্দ্য মুল্যায়ন থাকা অবশ্যই দরকার। নচেৎ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে হয়।