কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদ তীরবর্তী রমনাঘাট এলাকা দেখতে এসে দুই চাঁদাবাজের কবলে পড়ে ৪ দর্শনার্থী লাঞ্চিত হয়েছে । এ সময় ৯৯৯ এ কল করলে চিলমারী মডেল থানা পুলিশ দর্শনার্থীদের উদ্ধার করে এবং ওই দুই চাঁদাবাজকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে ! চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, রোববার দুপুরে পার্শ্ববর্তী উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়ন থেকে রিয়াজুল ইসলাম (১৯) নামের এক যুবক তার তিন বান্দবীকে সাথে নিয়ে চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের রমনা ঘাটে আসে। ঐ ঘাট এলাকায় তারা ৪ বন্ধু মিলে হাটতে হাটতে গল্প করছিল।
এদিকে,স্থানীয় বখাটে চাঁদাবাজ আবু সাঈদ ও মুন্না তাদের অনুসরণ করতে থাকে। এরা হেটে হেটে নদীর কিনারায় পৌছিলে ২ চাঁদাবাজ তাদের বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কাল্পনিক অভিযোগ তুলে অতর্কিত ১০ হাজার টাকা চাঁদাদাবী করে বসে। দর্শনার্থীরা চাঁদার টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের আটক করে। এ সময় রিয়াজুলের সাথে চাঁদাবাজদের বচসা হয় এবং তারা তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দেয় ।
এক পর্যায়ে তাদের সাথে থাকা সামান্য টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য জোরপূর্বক তাদের পার্শ্ববর্তী একটি বিকাশের দোকানে নিয়ে যায়। এ সময় রিয়াজুল ইসলাম তার মামাকে টাকার জন্য ফোন করবে বলে কৌশলে ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চায়, কিছুক্ষণের মধ্যে চিলমারী মডেল থানার এস আই মিতু আহমেদ ও কাইয়ুম সরকার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
পুলিশ ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ৪ দর্শনার্থীকে চাঁদাবাজদের হাত থেকে উদ্ধার করে এবং ২ চাঁদাবাজকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর রাতেই রিয়াজুল বাদী হয়ে অভিযুক্ত দু’জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর মামলা দায়ের করে। গ্রেপ্তারকৃত চাঁদাবাজরা হচ্ছে রমনা সোনারী পাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের পুত্র আবু সাঈদ (২২) ও রমনা খামার এলাকার মৃত নজরুল ইসলামের পুত্র মুন্না (২০)। এরা প্রায়ই রমনা ঘাটে এমন চাঁদাবাজি করে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,অভিযুক্তদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।