রংপুরের পীরগঞ্জে এক কৃষক পরিবারের ঘরে পেট জোড়া লাগানো জমজ কন্যা সন্তানের জন্ম হয় । গত ২৪ ফেব্রুয়ারী উপজেলার গাড়াবেড় গ্রামের দরিদ্র কৃষক রানুর স্ত্রী রিতু বেগম রংপুরের একটি ক্লিনিকে সিজারের মাধ্যমে সন্তান দু’টির জন্ম দেন। জন্মের পর জমজ শিশুদেরকে ভর্তি করানো হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু দরিদ্র পরিবারের পক্ষে আর্থিক সংকটের কারনে ওই শিশুর চিকিৎসা করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
বিষয়টি জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর নজরে আসলে তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষের নিকট ফোন করে ওই শিশুর চিকিৎসার সার্বিক বিষয় খোঁজ খবর নেন এবং চিকিৎসার বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান পূর্বক চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহন করেন। স্পীকার ২৪-রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) এর সংসদ সদস্য ।
জোড়া লাগানো শিশু দুইটিকে অপারেশনের মাধ্যমে আলাদা করার প্রক্রিয়াটি জটিল এবং এই ধরনের অপারেশন আমাদের দেশে অত্যান্ত বিরল ।তাই এ ব্যাপারে যা যা করণীয় উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে তাই করা হবে” বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন । স্পীকারের নির্দেশনা মোতাবক উন্নত চিকিৎসা প্রদানের উদ্দেশ্য গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে অ্যাম্বুলেন্স যোগে শিশু দুটিকে ঢাকায় নেওয়া হয় এবং ১লা মার্চ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এইচডিইউ তে ভর্তি করানো হয় ।
পটে জোড়া লাগা জমজ সন্তানই ওই কৃষক দম্পতির প্রথম সন্তান । দরিদ্র কৃষক রানুর নিজস্ব কোনো জমিজমা নেই। অন্যের জমিতে চাষাবাদ করেই জীবিকা চালান তিনি । এমতাবস্থায় ওই শিশু সন্তানদের ব্যয়বহুল চিকিৎসার খরচ জোগানো ওই কৃষক পরিবারের পক্ষে প্রায় অসম্ভব ব্যাপার ছিল । জাতীয় সংসদের স্পীকার জোড়ালাগা জমজ সন্তানদের চিকিৎসার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। স্পীকারের এমন মহানুভবতায় মুগ্ধ এলাকাবাসী গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তার প্রতি ।
স্পীকার ড.শিরীন শারমিন চৌধুরীর পীরগঞ্জ উপজেলায় জন্ম না হলেও মানবতার পাশে নিজেকে সম্পৃক্ত করে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপণ করাসহ সার্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে পীরগঞ্জ উপজেলাকে এগিয়ে নেয়ায় উপজেলার সাধারণ মানুষের মনে শক্ত অবস্থান তৈরী হয় তাঁর । পীরগঞ্জের মানুষও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বাধিক ভোটে ড.শিরীন শারমিন চৌধুরীকে এমপি নির্বাচিত করে তাকে আপণ করে নেয়ার প্রমান দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও পরামর্শক্রমে পীরগঞ্জের মানুষের জীবনমান উন্নয়নসহ বিভিন্ন অবকাঠামোর উন্নয়ন, শতভাগ বিদ্যুতায়ণ, চতরা ইউনিয়নের নুনদাহ ঘাটে এবং টুকুরিয়া ইউনিয়নের জয়ন্তীপুর ঘাটে করতোয়া নদীর ওপর পৃথক ২ টি ব্রীজ নির্মান কাজ এগিয়ে চলছে ।
পীরগঞ্জ মেরিন একাডেমি, ডঃ এম.এ.ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, শেখ কামাল আইসিটি ট্রেনিং সেন্টার, বুল্ড ষ্টেশন, পুষ্টি একাডেমি, সরকারী শেখ হাসনিা টেকেনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজসহ দীর্ঘ তালিকার সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে এবং হচ্ছে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর প্রচেষ্টায়।
এছাড়াও পীরগঞ্জের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে একাডেমিক ভবন নির্মান , সায়েন্স ও কম্পিউটার ল্যাব প্রতিষ্ঠাসহ প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও ক্রীড়া উপকরণ বরাদ্দ দিয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে অসামন্য অবদান রেখেই চলছেন। পিছিয়ে থাকা নারীদের আত্ম কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে কুটিরশিল্পসহ নানান ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন ।
একইভাবে মোবাইল সার্ভিসিং, মোটর সাইকেল মেকানিক্স, ড্রাইভিংসহ নানা ট্রেডের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করায় উপজেলার অনেক বেকার যুবক ওই প্রশিক্ষনের মাধ্যমে আত্ম কর্মস্থানের সুযোগ পেয়েছে। মসজিদ,মন্দির ,ইদগাহ মাঠের উন্নয়ন , ব্রীজ, কালভার্ট ও সড়ক পাকা করে উপজেলার গ্রামীণ অবকাঠামোর অভূতপূর্ব উন্নয়ন করছেন স্পীকার। ইতোমধ্যেই যার সুফল পেতে শুরু করেছে এলাকাবাসী ।