বগুড়ার নন্দীগ্রামে স্বামীর অত্যাচার সইতে না পেরে আশা খাতুন (২৩) নামের এক গৃহবধূর আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর থেকে আশা খাতুনের স্বামী মঞ্জুরুল ইসলাম (২৮) পলাতক রয়েছে।
সোমবার (৮ মার্চ) সকাল অনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের কামুল্ল্যা সরকার পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আশা খাতুন জেলার শেরপুর উপজেলার টুনিপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে।
আশা বাবা আনোয়ার হোসেন জানান, প্রায় চার বছর আগে কামুল্ল্যা গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে মঞ্জুরুল ইসলামের সঙ্গে আমার মেয়ে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। সামান্য কিছু নিয়েই আমার মেয়েকে নির্যাতন করতো মঞ্জুরুল। অনেক সময় নেশা করে বাড়ি ফিরে মাতলামি করত সে। তার অত্যাচার সইতে না পেরে আমার মেয়ে ঘরের ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। তবে গৃহবধূর স্বামী পলাতক রয়েছে।