নওগাঁর মান্দায় স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিন ডলিকে (৫০) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ঘাতক স্বামী ১৯৭১ সালের কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমান(৬২) কে অবশেষে আটক করেছে থানা পুলিশ। নিহতের বড়ছেলে ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ বাদি হয়ে মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার সকালে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমান উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের হাজী ময়েজ উদ্দিনের ছেলে।
মান্দা থানার পরিদর্শক শাহিনুর রহমান শাহিন জানান, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার সময় মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমানের অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তার স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিন ডলি। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউতে) গত ৭দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত রোববার রাতে অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন নির্যাতনের শিকার স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিন ডলি ।
ওসি আরও জানান, ঘটনায় নিহতের ছেলে ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ বাদি হয়ে মান্দা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার সকালে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমানকে আটক করে নওগাঁ জেলাহাজতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমান মদ্যপ অবস্থায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বাড়ি ফিরে ক্রিকেটব্যাট দিয়ে স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিন ডলিকে দু’দফা মারপিট করে গুরুতর জখম করেন। স্থানীয়দের সহায়তায় ডলিকে উদ্ধার করে প্রথমে মান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। রামেকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রোববার রাতে মারা যান তিনি।