রাজশাহীর তানোর মুণ্ডুমালা রাস্তার কাজ হচ্ছে একেবারেই নিম্মমানের বলে অভিযোগ উঠেছে।এতে করে রাস্তার টিকসই নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। দীর্ঘদিন পর বেহাল রাস্তার কাজ শুরু হয় কয়েকমাস আগে।এর পর থেকে কাজ চলে ব্যাপক ধীরগতিতে। ফলে প্রচুর দুর্ভোগে পড়ে জনসাধারণ।আবার রাস্তার কাজের বিষয়ে কোন ধরণের তথ্য বা ফোন ধরেন না উপজেলা প্রকৌশলী। নিজ ইচ্ছেমত অনিয়ম দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন দাপটের সাথে।
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিন আগে রাস্তার খোয়া পিচ উত্তোলন এবং রাস্তা প্রশস্ত করার জন্য দু পাশে খনন করা আছে। পুরাতন খোয়া ধুলা এবং রাস্তার ধারে পড়ে থাকা খননকৃত মাটি ও কুচি পাথর মেরে যত সামান্য নিম্মমানের খোয়া বালি দিয়ে দ্রুত রোলার দিয়ে সমান করা হচ্ছিল। যোগিসো মোড়ের কাছে দুই তিন জন শ্রমিক পুরাতন পাথর ধুলা বালিযুক্ত আবর্জনা কোদাল দিয়ে রাস্তার উপরে দিচ্ছেন।
তাদের জিজ্ঞেস করা হয় এই সব মালামাল কেন দেয়া হচ্ছে তাঁরা জানান আমরা শ্রমিক আমাদের যে ভাবে বলছে সেই ভাবেই কাজ করছি। মোড়ের একাধিক দোকানিরা জানান মনে হচ্ছে ঠিকাদারের স্বাধীনমত যেমন খুশি তেমন ভাবে কাজ চলছে। এত নিম্মমানের কাজ না করায় ভালো ছিল।
কারন একবার বৃষ্টি হলেই খানাখন্দ দেখা যাবে। দীর্ঘ কয়েকমাস পড়ে ছিল রাস্তার কাজ। পিচ খোয়া তুলে কুচি পাথর রাস্তায় রেখে থমকে যায় কাজ। এর উপর দিয়েই চরম ঝুকি নিয়ে চলতে হয়েছে জনসাধারণকে। এমনকি কোনদিন পানি পর্যন্ত না মারার কারনে যে কোন ধরনের গাড়ি চললেই ব্যাপক ধুলা উড়ত। আর পাথর খোয়ার ধুলা নাক মুখের ভিতর দিয়ে দেহের মধ্যে প্রবেশ করে সর্দি কাশি জরেও আক্রান্ত হয়েছে অনেকে।
কাজের ওখানে ছিলেন ম্যানেজার আলী হোসেন তাকে প্রশ্ন করা হয় পুরাতন পিচ আবর্জনাযুক্ত খোয়া দেওয়ার নিয়ম আছে কিনা তিনি উত্তরে জানান এসব অফিস ভালো বলতে পারবে। আমাকে যে ভাবে অফিসের লোকজন এবং ঠিকাদার কাজ করতে বলেছেন আমি সেই ভাবেই করছি এর বেশি কিছু জানতে হলে অফিসের সাথে যোগাযোগ করে নেন বলেও দম্ভক্তি প্রকাশ করেন।
সেখান থেকেই উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
অটো চালক আমির, ইসলাম, শফিকুলসহ একাধিক ব্যাক্তিরা জানান যে ভাবে রাস্তার কাজ হচ্ছে তা খুবই খারাপ ভাবে। যাকে বলা যায় ছ্যাপ দিয়ে ছাতু শানা। অফিসের লোকজন সময়মত থাকেনা, তাঁরা আসে কিছুক্ষন বসে থেকে ঠিকাদারের লোকজনের সাথে কথা বলে চলে যায়। দিনে একবার আসে আর বাকি সময় ইচ্ছেমত অনিয়ম করে চালিয়ে যাচ্ছেন রাস্তার কাজ।কাজের মান শিডিউল অনুযায়ী হয় এজন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সুত্রে জানা যায়, উপজেলার অন্যতম মুল রাস্তা এটি। থানা মোড় থেকে ধামধুম পর্যন্ত প্রায় ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে হচ্ছে কাজ। কিন্তু কাজের মান একেবারেই নিম্মমানের। থানা মোড়ে দীর্ঘ কয়েক বছর আগে তানোর – আমনুরা ভায়া মুণ্ডুমালা হাট( তানোর অংশ) সড়ক উন্নয়ন কাজের শুভ উদ্বোধন করেন সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী। চুক্তি মুল্য ১৬ কোটি টাকা।
বেশ কিছু স্থানীয় ঠিকাদারেরা জানান কাজটি অগ্রিম লাভ দিয়ে কিনে করছেন রাজশাহী শহরের অসিম নামের ঠিকাদার। অগ্রিম লাভ দিয়ে কাজ কিনে করলে তো অবশ্যই তাকে অনিয়ম করতে হবে।
কাজের ম্যানেজার আলী হোসেনের কাজে ঠিকাদার অসিমের মোবাইল নম্বর চাইলে তিনি জানান নম্বর নাই নিয়ম অনুযায়ী কাজ হচ্ছে।
এসব বিষয়ে জানতে বুধবার একাধিকবার উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুনের ০১৭১৯-১০৬৩২৮ নম্বরে ফোন দিলেও কোন ভাবেই রিসিভ করেননি।