নওগাঁর পোরশায় পরকীয়ার জেরে ছেলে, জামাই ও মেয়ের সহযোগীতায় আব্দুল খালেক(৫০) নামের এক স্বামীকে খুন করেছেন স্ত্রী। আব্দুল খালেক উপজেলার বালিয়াচান্দা গ্রামের বাসিন্দা।
এঘটনায় আব্দুল খালেকের আপন ভাই বাদী হয়ে পোরশা থানায় একটি মামলা করেছেন এবং গত মঙ্গলবার সন্ধায় স্ত্রী ফাইমা খাতুন, ছেলে খাইরুল ইসলাম, মেয়ে নাজমা খাতুন ও জামাই মোদাচ্ছের রহমানকে আটক করেছে পোরশা থানা পুলিশ।
থানায় দাখিলকৃত এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল খালেকের স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া করে আসছিলেন। স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়টি স্বামী জেনে ফেললে সে স্ত্রীকে সতর্ক করে দেয়। এর পরেও স্ত্রী কথা না শুনলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মাঝে মধ্যেই দন্দ চলতো। স্ত্রী কথা না শুনায় এক পর্যায়ে গত ২৭শে জানুয়ারী স্ত্রীকে মৌখিক তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয় স্বামী আব্দুল খালেক।
এ সংবাদ ছেলে খাইরুল ইসলাম, মেয়ে নাজমা খাতুন ও জামাই মোদাচ্ছের রহমান জানতে পেরে একসাথে একত্রিত হয়ে আব্দুল খালেককে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এসময় আব্দুল খালেক তার পার্শবর্তী অন্যের একটি বাড়িতে বেশ কয়েকদিন আশ্রয় নেন। স্থানীয়রা বিষয়টি আপোষ মীমাংসা করার জন্য বেশ কয়েকরার ব্যর্থ হয়। তবে গত ৪ই ফেব্রুয়ারী ছেলে খাইরুল ইসলাম আপোষের কথা বলে বাবাকে বাড়িতে ডেকে আনেন।
এবং রাতে স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও জামাই আপোষ মীমাংসার জন্য বাড়িতে বসেন। আপোষ মীমাংসার এক পর্যায়ে সকলে মিলে গলায় থাকা মাফলার দিয়ে গলায় প্যাঁচ দিয়ে আব্দুল খালেককে হত্যা করেন।
এবং ঐ রাতেই লাশ একটি বস্তায় করে মোটরসাইকেল যোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের শ্রীরামপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসার পিছনের ড্রেনে ফেলে আসে। পরে এলাকাবাসী সেখানে লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে থানা পুলিশ অজ্ঞতনামা হিসাবে লাশ উদ্ধার করেন।