নির্দিষ্ট অপশনে ভোট দেওয়ার মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের ‘স্প্রাইট স্টোরি’ বলার সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশের স্প্রাইট এর ভোক্তারা
নতুন ক্যাম্পেইনে দর্শক মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে ভোক্তাদের পছন্দের ‘স্প্রাইট স্টোরি’ বলার সুযোগ করে দিচ্ছে কোকা-কোলার লেমন-লাইম স্বাদের জনপ্রিয় কোমলপানীয় স্প্রাইট। “তোমার চয়েসে হোক স্প্রাইট এর গল্প” শিরোনামে শুরু হওয়া ডিজিটাল ক্যাম্পেইনটির উদ্দেশ্য- তরুণদেরকে সক্রিয়ভাবে ক্যাম্পেইনে অংশ গ্রহণের দারুণ এক সুযোগ করে দেওয়ার মাধ্যমে তাদের সঙ্গে স্প্রাইটের সম্পর্ককে আরও জোরদার করা।অসাধারণ এই ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে প্রথমে স্প্রাইট এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে একটি চমকপ্রদ অসমাপ্ত গল্পের ভিডিও পোস্ট করা হয় যার মূল চরিত্রে আছেন বাংলাদেশে স্প্রাইট এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর, জনপ্রিয় অভিনেতা সিয়াম আহমেদ।
দারুণ এক ট্যুইস্ট রেখেই অসমাপ্ত গল্পের প্রথম পর্ব শেষ করে দর্শকদেরকে পরবর্তী পর্বের গল্প নির্বাচনের জন্য ভোট প্রদানের আমন্ত্রণ জানানো হয় । তখন পছন্দের অপশনটিতে ভোট দিয়ে নিজের পছন্দে অসমাপ্ত গল্পটির পরবর্তী পর্ব বাছাই করতে পারবেন স্প্রাইটের ভোক্তারা। ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণকারীরা স্প্রাইট এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজের ম্যাসেঞ্জারেও নিজেদের উত্তর লিখে পাঠাতে পারবেন। আর এভাবেই সংখ্যাগরিষ্টের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে তাদের পছন্দের উত্তরের ভিত্তিতে নির্মিত হবে ভোক্তাদের ‘স্প্রাইট স্টোরি’।
এ বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে স্প্রাইট এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সিয়াম আহমেদ বলেন, “স্প্রাইট এর উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মত আয়োজিত এ ধরনের একটি চমৎকার ও অনন্য ক্যাম্পেইনের অংশ হতে পেরে আমি রীতিমত রোমাঞ্চিত। এখন তরুণ ভোক্তারা এই ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করে কিভাবে তাদের নতুন নতুন আইডিয়া, ভাবনা এবং সৃজনশীল কল্পনাশক্তি দিয়ে গল্পে চমকপ্রদ ট্যুইস্ট এনে দেয়, সেটাই দেখার জন্যই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।“
ক্যাম্পেইনটির পেছনের ভাবনা তুলে ধরে কোকা-কোলা বাংলাদেশ এর ডিরেক্টর অজয় বাতিজা বলেন, “স্প্রাইট এর তারুণ্য নির্ভর জীবনীশক্তি কেবল তৃষ্ণা মেটাতেই সাহায্য করে না, উপরন্তু অভিনব আইডিয়া এবং বুদ্ধির বিকাশ ঘটাতেও ভোক্তাদেরকে উৎসাহিত করে। আমরা স্প্রাইট এর প্রতিটি ঠাণ্ডা চুমুকে সবাইকে সতেজ ও ঐক্যবদ্ধ রাখায় বিশ্বাসী, যেটি স্প্রাইটে প্রতিফলিত হয়। আমরা আশা করি, স্প্রাইট এর লেমন-লাইম সমৃদ্ধ অনন্য স্বাদের সাথে নতুন এই ডিজিটাল ক্যাম্পেইন মিলে গরমের তীব্রতাকে পরাজিত করবে এবং আসন্ন গ্রীষ্মতে সবাইকে সতেজতায় যুক্ত করবে।“
কোকা-কোলা বাংলাদেশ সম্পর্কে:
কোকা-কোলা সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে হাজার হাজার ভোক্তার কোমল পানীয়ের চাহিদা পূরণ করছে, যা তাঁদের সতেজ ও চনমনে থাকতে বেশ সহায়ক। কোকা-কোলার পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- কোকা-কোলা, ডায়েট কোক, স্প্রাইট, ফান্টা, কিনলে পানি, কিনলে সোডা, কোকা-কোলা জিরো, স্প্রাইট জিরো, থামস আপ কারেন্ট ইত্যাদি। কোকা-কোলা এদেশে ৮ শতাধিক লোকের সরাসরি এবং পরোক্ষভাবে ৫ হাজারেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।
কোকা-কোলা নানা ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে কমিউনিটি বা সমাজকে শক্তিশালী করে তোলার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর মধ্যে উলে¬খযোগ্য দু’টি কর্মসূচি হলো: ‘এভরি ড্রপ ম্যাটারস’ ও ‘ওয়াশ’। এই দু’টি কর্মসূচির আওতায় দেশব্যাপী বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন বা পয়ঃনিষ্কাশন, হাইজিন বা স্বাস্থ্যবিধি বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং স্কুলে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের কার্যক্রম চলছে।
এছাড়া নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশে কোকা-কোলা ‘উইমেন বিজনেস সেন্টার’ নামে তার ব্যতিক্রমধর্মী ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে, যা ২০২০ সালের মধ্যে দেশটির ১,০০,০০০ নারীকে সাবলম্বী হয়ে উঠতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।