কুড়িগ্রামে সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগ্যানকে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের নামে গভীর রাতে বাসা থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন ও ক্রসফায়ার দেয়ার চেষ্টার ঘটনার এক বছর আজ ! গত এক বছরে মামলার অগ্রগতি না থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত প্রতিবেদন জমাসহ কার্যক্রম হাতে নেয়ার দাবীতে মানববন্ধন করেছে সংবাদকর্মী ও সুধীজনেরা।
আজ রোববার বেলা ১২টায় কুড়িগ্রামের জিরো পয়েন্ট শাপলা চত্ত্বর এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় ।
বার্তা বাজার এর জেলা প্রতিনিধি সুজন মোহন্ত এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক শ্যামল ভৌমিক,
কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বিপ্লব, সাংবাদিক রাজু মোস্তাফিজ, সাংবাদিক হাসিবুর রহমান হাসিব, সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম, গনকমিটির সদস্য মামুনুর রশিদ, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিল্লুর রহমান প্রমুখ ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আরিফুলকে হত্যাচেষ্টার জঘন্য কর্ম কান্ডের সাথে জড়িত সেই সময়ের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনসহ তিন ম্যাজিস্ট্রট জড়িত ! সাগর-রুনি হত্যা মামলার মতো এ মামলাটিও কোন একটি প্রভাবশালী মহল প্রভাবিত করছে বলে সাংবাদিকদের ধারণা। দ্রুত মামলার প্রতিবেদন জমা দিয়ে, দ্রুত রায়ের ব্যবস্থা না করলে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে বক্তারা মানববন্ধনে জানিয়েছেন।
গত বছরের ১৩ মার্চ মধ্যরাতে সেই সময়ের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন এর নির্দেশেই সেই সময়ের আরডিসি নাজিম উদ্দিন, এনডিসি রাহাতুল ইসলাম ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট রিন্টু বিকাশ চাকমা অভিযানের নাম করে সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগ্যানকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করে। ধরলা পাড়ে নিয়ে তাকে ক্রসফায়ারের নাম করে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়।
পরে তাকে আধা বোতল মদ ও দেড়শ গ্রাম গাঁজা রাখার অভিযোগ এনে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে এক বছরের জেল দিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছিল। এ নেক্কারজনক ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনকেই প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ ন্যস্ত করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চলছে বলেও জানা গেছে। কিন্তু গত এক বছরেও সে মামলার প্রতিবদন জমা হয়নি।