কুড়িগ্রামের রাজারহাটে কলেজ এর প্রভাষক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মিন্টুকে কুপিয়ে ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করেছে একদল সন্ত্রাসী ! এ সময় মিন্টুর অপর হাতসহ দুই পা প্রায় বিচ্ছিন্ন করে ফেলে দুর্বৃত্তরা। মুমুর্ষ অবস্থায় আতাউর রহমান মিন্টুকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে কুড়িগ্রাম-রংপুর মহা সড়কের কাঠালবাড়ি ও জেলা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় তাৎক্ষণিকভাবে সড়ক অবরোধ করে স্থানীয় জনতা। ফলে রংপুর ও কুড়িগ্রামের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় দেড়ঘন্টা অবরোধ থাকার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
আজ ১৬ মার্চ মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে জেলার রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের পালপাড়া এলাকায় এ জঘন্যতম লোমহর্ষক ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুপুর ২ টার দিকে কুড়িগ্রাম মজিদা কলেজ এর প্রভাষক আতাউর রহমান মিন্টু ঐ এলাকায় পৌছিলে একদল সন্ত্রাসী ধারালো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা চালায়।
সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি কোপে আতাউর রহমান মিন্টুর ডানহাত বিছিন্ন হয়ে যায়। অপর হাতসহ দুই পা সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি কোপে বিচ্ছিন্ন প্রায়। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা বীরদর্পে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসীরা তাকে গুরুতর মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। মিন্টু এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে !
আতাউর রহমান মিন্টু ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেনের ২য় পুত্র এবং সে কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলীর ভাগিনা বলে জানা গেছে। পূর্ব শত্রুতার কোন জেরে এ জঘন্যতম ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসীদের ধারণা !
রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ রাজু সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় রাজারহাট থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।