উপজেলার হাটবাজারগুলোতে পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে বেড়েই চলছে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দাম। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পবিত্র মাহে রমজান মাস শুরু হচ্ছে।
ইতোমধ্যে চাল, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, সবজী, ছোলা, চিনি, জিরা, এলাচসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়েছে। রোজার আগে থেকেই বাজার গরম হয়ে উঠেছে। পন্যমূল্য ক্রমেই ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে চলে যাচ্ছে। উপজেলা সদরের কাটেংগা বাজার, জয়সেনা বাজার ও তেরখাদা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব ধরনের পন্য প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা থেকে শুরেু করে ২০ টাকা পর্যন্ত। এর মধ্যে ছোলা ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, চিনি ৬৮ টাকা, সোয়াবিন তৈল ১৩০, পাম ওয়েল ১৩৫ টাকা, সরিষা তেল ১৭০ টাকা, মোগডাল ১৪০ টাকা, পরশ মিনিকেট চিকুন ও বালাম চাউল ৬৫ টাকা, আতপ চিকুন চাউল ১১০ টাকা, মোটা আতপ চাউল ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
সবজির মধ্যে ঘি কাঞ্চন সহ সাদা শাক প্রতি আটি ১৫-২০ টাাকা, লাল শাক ২০-২৫ টাকা, পুঁই শাক ১৫-১৭ টাকা, পেয়াজ ৩০-৩৫ টাকা, রসুন ৯০-১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সবজির মধ্যে পটল ৪০ টাকা, ভেন্ডি ৩০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, কুমড়া ৪০ থেকে ৪২ টাকা, ঝিঙ্গে ৩৫ টাকা, বটবটি ৪০ টাকা, উচ্ছে ৪০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, আলু ২০ টাকা কেজি দ্বরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে গরুর মাংশ প্রতি কেজি ৫০০-৫৫০ টাকা। খাসির মাংস ৮০০-৮৫০ টাকা, বয়লার মুরগি ১৫০-২০০ টাকা, কাতল মাছ (বড়) ৪০০-৫০০ টাকা, চিংড়ি প্রকারভেদ ৫০০-১০৫০ টাকা, দেশী কৈ মাঝারি ৭০০ টাকা, টেংরা মাছ ৪০০-৮০০ টাকা, শিং মাছ ৬০০-১০০০ টাকা, পুঠি দেশী ৪০০-৫০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। দেশব্যাপী চলছে করোনার তৃতীয় ঢেউ।
এ পরিস্থিতিতে হুহু করে তেরখাদার হাট বাজারগুলোতে সব ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যর দাম বেড়েছে। ফলে বিপর্যন্ত জনজীবন। বাজার মনিটরিং না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারনে সব ধরনের পন্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষেরা। ক্রেতা মেহেরব হোসেন মিরাজ, শাহিন মোল্যা সহ বেশ কয়েকজন ক্রেতা জানান, হঠাৎ করে পন্যের দাম বাড়ার কারনে তারা হতাশ ও উদ্বেগ হয়ে পড়েছে। রোজার মাসে এবার যে কিভাবে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।