মোংলায় এক বীর মুক্তিযোদ্ধার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। ১৬ মার্চ মঙ্গলবার ভোরে সোনাইলতলা ইউনিয়নের কাটাখালী খেয়াঘাট এলাকায় এঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ হামিদ।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার। প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্ত মুক্তিযোদ্ধা আঃ হামিদ শেখ জানান, সোনাইলতলা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড খেয়াঘাট এলাকায় তার একটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আঃ হামিদ একজন মুক্তিযোদ্ধা ছাড়াও ওই ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
গত ইউপি নির্বাচনে তাদের পক্ষের লোক পরাজিত হওয়ায় ওই সময় থেকেই ক্ষিপ্ত ছিল প্রতিপক্ষ গ্রুপটি। এবারের ইউপি নির্বাচনে পুনরায় মুক্তিযোদ্ধা আঃ হামিদ অংশ গ্রহন করায় তাকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মুদি দোকোনে আগুন সন্ত্রাস করে জব্দ করার পায়তারা করছে বলে জানায় মুক্তিযোদ্ধা। তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার ভোরের দিকে খবর আসে, তার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন জ্বলছে।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে আসলেও আগুনের লেলিহনি শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তের মধ্যে ঘরসহ ব্যবসার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ প্রতিষ্ঠানে তিনি ইউনিয়ন পরিষদ সংক্রান্ত অস্থায়ী দাপ্তরিক কার্যক্রম চালাতো। এখানে তার মুক্তিযোদ্ধকালীন জরুরী কাগজ পত্র ছিল যা পুড়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনের ঘটনায় তার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে মুল্যবান কাগজ পত্রসহ প্রায় ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় মুক্তিযোদ্ধা আঃ হামিদ। তবে আগামী ইউপি নির্বাচনেও তিনি ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পদে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করছে। তার প্রতিদন্ধী প্রার্থীর লোকজন ওই ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে আগুনে পুড়িয়ে তাকে জব্ধ করার চেষ্টা করছে বলে জানায় এ মুক্তিযোদ্ধা।
এব্যাপারে থানায় মামলা প্রস্তুতি চলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের অহংকার, তাদের উপর যে সকল দৃর্বৃত্তরা এহেন কর্মকান্ড চালিয়েছে যা হৃদয় বিদারক। তদন্ত করে তাদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্তা নেয়া হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার বলেন, উপজেলার সোনাইলতলা ইউনিয়ন আমার নিজ এলাকা। ইতিপুর্বে এধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা কখনই ঘটেনি কিন্তু রাতের অন্ধকারে যারা মুক্তিযোদ্ধার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন সন্ত্রাস করে এমন জঘন্য কাজ করেছে তা খুজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।