খুলনা মহানগরীর শতকরা ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ড্রেন মশার প্রজনন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। সংস্কার কাজ চলায় এসব ড্রেনে ময়লা-আবর্জনাযুক্ত পানিতে জন্ম নিচ্ছে মশা। এসব মারার জন্য ফগার মেশিন, হ্যান্ড স্প্রে, পোড়া মবিল ব্যবহার করেও কোনো ফল পাচ্ছেন না নগরবাসী।
নগরীতে গত কয়েক সপ্তাহ হঠাৎ করেই মশার উৎপাত বেড়েছে।
আগে মশার উপদ্রব রাতে থাকলেও এখন দিনের বেলাতেও মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরীর বাসিন্দারা। ঘরে-বাইরে, বাসা-বাড়িতে এমন কি অফিস-আদালতেও মশার হাত থেকে রেহাই নেই। পাড়া বা মহল¬াতে ফগার মেশিন হাতে আগে সিটি কর্পোরেশনের লোকদের দেখা গেলেও বেখবর তারা।
খুলনা নগরীর লবণচরা ৩১নং ওয়ার্ড ছোট খালপাড়, গোড়াখাল, মুক্তার হোসেন সড়ক, দারোগারলীজ, হটাৎ বাজার, লবণচরা সুইচ গেট আলামিন সড়ক সহ বসবাসরত এলাকার কতিপয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘মশার যন্ত্রণায় ১ মিনিটও চুপ করে বসে থাকা দায় হয়ে গেছে। দিনের বেলাও মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হয়।
আমাদের এলাকার ড্রেনগুলো সব উন্মুক্ত, মাঝে-মাঝে সিটি কর্পোরেশন থেকে লোক এসে স্প্রে করে, ফগার মেশিন দিয়ে ধোয়া দিলেও কোন কাজ হয় না। ফগার মেশিন দিয়ে ধোয়া দেয়ার কিছু সময় পর আগের মত হয়ে যায়।’ খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) কর্মকর্তাদের একটু নজরদারি থাকলেও ওই এলাকায় তেমন একটা নেই।
কেসিসির কঞ্জারভেন্সি অফিসার মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘মশা নিধনের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’ কেসিসির সহকারী কঞ্জারভেন্সি অফিসার নূরুন্নাহার এ্যানি বলেন, ‘গত ৫ মার্চ থেকে লাইট ডিজেল স্প্রে শুরু হয়েছে। যতদিন পর্যন্ত মশা পুরোদমে দমন না হবে ততদিন এ স্প্রে চলবে। একটি মেশিন দিয়ে এখন তিন বার স্প্রে করা হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই প্রতিদিন মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।’
আজ ১৮ মার্চ বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি এলকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সংস্কারের জন্য ড্রেনের বর্জ্য বিক্ষিপ্তভাবে ফেলে রাখা হয়েছে। এতে মশার প্রজনন বেড়ে গেছে। ফলে দিনে রাতে মশার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলছে না নগরবাসীর।