রাজশাহীর তানোরে আ”লীগ নেতা জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালামসহ তাঁর ভায়ের নামে আলু লুটের মিথ্যা প্রতিহিংসা মূলক মামলা দায়ের করেছেন বলে দাবি তাদের। উপজেলার চান্দুড়িয়া ইউপির একতারগ্রামে নিজেদের পৈত্রিক জমি থেকে আলু উত্তোলনের পর চলতি মাসের প্রথম দিকে জমির ভুয়া মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন বলেও অভিযোগ করেন আ”লীগ নেতাসহ এলাকাবাসী। এই মিথ্যা মামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এমন প্রতারনা মূলক মামলার বিরুদ্ধে উল্টো মামলা করবেন বলেও একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে উপজেলার চান্দুড়িয়া ইউপির ১১৯ নং এক্তারপুর মৌজার অন্তর্গত আরএস ১৮১ খতিয়ানে ৪৮০,৪৯৭ দাগে ৬২ শতাংশ জমিসহ আরও অধিক জমিতে আলু রোপণ করেন ওই ইউপির রাতৈল গ্রামের সৈয়দ আলীর পুত্র উপজেলা আ”লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আব্দুস সালাম ও তাঁর ভাই মুস্তাফিজুর রহমান।
কিন্তু আলু রোপণকৃত ৬২ শতাংশ আলুর জমির মালিকানা দাবি করে এবং আলু উত্তোলন ও দখল পেতে নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার বিরুপাড়াগ্রামের মৃত জবির মণ্ডলের পুত্র গিয়াস উদ্দিন ১৪৪ ধারা আদেশের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ১০৪ পি/ ২০২১( তানোর)। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ২৩ তারিখে প্রকৃত আলু রোপণ কারীকে আলু উত্তোলনের সুযোগ দিতে থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
সেই মোতাবেক থানার এএসআই ইউনুছ আলী মোল্লা ফেব্রুয়ারি মাসের ২৬ তারিখে যিনি আলু রোপণ করেছেন সেই ব্যাক্তিই আলু তুলবেন এবং এইসব নিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে আদালতকে অবহিত করা হবে ও নালিশি সম্পত্তি আদালতের মাধ্যমে নিস্পত্তি হবে যার পরবর্তী তারিখ ৬ এপ্রিল।
স্থানীয়রা জানান প্রকৃত ভাবে ৬২ শতাংশ জমিসহ আরও জমিতে আলু রোপণ করেন আব্দুস সালামের ভায়েরা।আদালতের নির্দেশ যারাই আলু রোপণ করেছেন তারাই তুলবেন। সে অনুযায়ি গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২৭,২৮ তারিখে আলু উত্তোলন করেন সালাম ও তাঁর ভায়েরা। কিন্তু জমির ভুয়া মালিকানা দাবি করে আলু লুটের মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন গিয়াস।
আব্দুস সালাম জানান জন্মের পর থেকে ওই সব জমি আমাদের পৈত্রিক। কিন্তু গত ১/৯/২০২০ সালে নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার বিরুপাড়াগ্রামের গিয়াস ৬২ শতাংশ জমি তিনি ক্রয় করেছেন বলে দাবি করেন। আমি সহ এলাকাবাসি জানতে চেয়েছিলাম কিভাবে এখানকার জমি আপনার কাছে বিক্রি হয়েছে উত্তরে তিনি জানান আরএস রেকর্ড লুবচি ও বালুচি নামে লিপিবন্ধ।
তাঁরা ওই জমি বিনিময় ও আমমোক্তারনামা দলিল মুলে ভারতে বসবাসকারী মুসলিম বিনিময়কারীগণের সম্পত্তির সহিত বিনিময় সুত্রে জসিম উদ্দিন দিগর প্রাপ্ত হন। তাহার নিকট থেকে গিয়াস জমি ক্রয় করেছেন। একথা শোনার পর সবাই হতবাগ হয়ে পড়ে। কারন বাপ দাদার আমল থেকে জমির চাষাবাদ করে আসছি। শুধু তাই না ওই জমি যোগ সাজসে খাজনা খারিজ করা হয়েছে।
সালামের ভাই মুস্তাক জানান ভুলবশত আরএস রেকর্ড লুবচি বালুচির নামে আছে। তাঁরা ৭২ সালের পর থেকে ভারতে বসবাস করছেন। ভারতে থেকে কিভাবে জমি বিক্রি হয়। আমার পিতা নালিশি সম্পত্তি সহ আরেক মালিক যাকে এখন পর্যন্ত দেখিনি তাঁর নামেরসহ প্রায় ২ একর ৪৬ শতাংশ জমির রেকর্ড সংশোধনের মামলা আদালতে চলমান রয়েছে যার মামলা নম্বর ১৬২/২০২০।
আসলে স্থানীয় ভুমি দালালরা কারসাজি করে জমি বিক্রি ও খাজনা খারিজ করেছেন। সেটা বাতিলের জন্য ভুমি দপ্তরে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।
এব্যাপারে নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার বিরুপাড়াগ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ০১৭৩৩-১১৮১৪৭ নম্বর মোবাইলে ফোন দেওয়া হলে একজন মহিলা রিসিভ করে জানান এই মোবাইল বাড়িতে রেখে গেছে।