নগরীর কেডিএ এ্যাভিনিউ এলাকায় বিএসসি শপিং কমপে¬ক্সে দশ বছরের চুক্তিতে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা অগ্রিম (এ্যাডভ্যান্স) দিয়ে কোটি টাকা বিনিয়োগে ২৫জন ব্যবসায়ী ব্যবসা শুরু করেছে দু’মাস পূর্বে। সম্প্রতি পূর্বঘোষণা ছাড়াই হটকারী সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদে তৎপর হয়ে উঠেছে কেডিএ ও বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন।
বৈশ্বিক করোনা মহামারীর মধ্যে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে এখন নিঃস্ব হয়ে পথে বসার উপক্রম এসব ব্যবসায়ীদের। ২২ মার্চ সোমবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমনি অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জহির হোসেন বাবু। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরশনের কাছ থেকে কেডিএ বিএসসি শপিং কমপে¬ক্সের জায়গা লীজ গ্রহন করেন হিউষ্টন এক্সপোর্টের প্রোপাইটর ক্যাপ্টেন মহসিনুল হাবিব।
কেসিসি’র বানিয়াখামার মৌজার মধ্যে কেডিএ এভিনিউয়ের ২৪ ও ২৫নং প¬টে জমির পরিমাণ ১১ দশমিক ৭৩ কাঠা। লীজপ্রাপ্তির পর ক্যাপ্টেন মহসিনুল হাবিব ওই স্থানে ভবন নির্মাণ করে ভাড়া দেন। গত দেড় বছর আগে ব্যবসায়ীরা দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র করলেও মাত্র দু’মাস পূর্বে ব্যবসা শুরু করেন তারা। কিন্তু ১০ বছরের চুক্তিতে লীজ দেয়ার পর মাত্র নয় মাসের মাথায় স্বল্প সময়ের নোটিশে গত ১৪ মার্চ বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন তাদের ঘর ছাড়ার নির্দেশ দেয়।
বিষয়টি দোকানদাররা লীজপ্রাপ্ত পক্ষ ও ভাড়া প্রদেয়পক্ষ হিউষ্টন এক্সপোর্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। হিউষ্টন এক্সপোর্ট আদালতে গেলে ২১ মার্চ তন্তবর্তীকালীন স্থিতিবস্থাজারী করেন। অন্তবর্তীকালিন নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও ২১ মার্চ সকালে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ রাকিবুল হাসানের নেতৃত্বে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও পিডিবি’র লোকদের নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন। এসময় মার্কেট দোকানদাররা ম্যাজিষ্ট্রেট ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অন্তবর্তীকালিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখালে তারা উচ্ছদ অভিযান বন্ধ করে চলে যান।
আরও বলা হয়েছে, হিউষ্টন এক্সপাের্ট প্রতিটি ঘরের জন্য দোকানদার কাছ ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা অগ্রিম নিয়েছেন এবং বড় জায়গার জন্য ৫০ লাখ টাকাও অগ্রিম নিয়েছেন। এখানে ২৫ জন ব্যবসায়ী ব্যবসার জন্য ঘর বরাদ্দ নিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা সবেমাত্র ব্যবসা শুরু করেছেন। এ অবস্থায় দোকানের পজিশন হারালে বিনিয়োগ হারিয়ে পথে বসতে হবে ২৫জন দোকানী ও তাদের উপার্জনে নির্ভরশীলদের। ফলে প্রধানমন্ত্রী, নৌ মন্ত্রী ও কেডিএ’র সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।