এক মাস আগে অভিযোগ দিলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় চরম হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষক পরিবার । উল্টো অভিযোগ ও পত্রিকায় খবর প্রকাশের জেরে একাধারে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন রাজশাহীর তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য গভীর নলকূপের অপারেটর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা হাসান বলে অভিযোগ উঠেছে।
আলু উত্তোলন শেষ হলেও শুধুমাত্র পূর্বশুক্রতার জেরে ক্ষমতার দাপটের কারনেই দিচ্ছেন না টাকা বলেও ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ। কিন্তু অভিযোগ দেওয়ার একমাস অতিবাহিত হলেও কোন প্রতিকার না পেয়ে কৃষক খাইরুলের পরিবার চরম বেকায়দায় পড়েছেন। অথচ বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও কোন কিছুই করেননি।
মৌখিক অভিযোগ দিলে হয়না ব্যবস্থা, বলা হয় লিখিত অভিযোগ দিতে সেটা দিলেও পড়তে হয় সমস্যায় তাহলে সাধারন কৃষকরা যাবেন কোথায় এমন নানা প্রশ্ন বিরাজমান। নাকি ক্ষমতাসীনদের জাঁতাকলে থাকতে হবে তাদের এমন অভিযোগ তালন্দ ইউপির লালপুরগ্রাম জুড়ে। কৃষক খাইরুলের প্রায় দেড় বিঘা জমি আলু করার জন্য প্রজেক্টে লিজ দিয়ে পুরো টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
অভিযগে উল্লেখ,উপজেলার তালন্দ ইউপির লালপুরগ্রামের কৃষক খাইরুল ইসলাম বাদি হয়ে ইউপি সদস্যকে বিবাদী করে গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২৩ তারিখে উপজেলা নির্বাহীর দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের অনুলিপি উপজেলা কৃষি অফিসার ও বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী বরাবর দিয়েছেন। কিন্তু রহস্যজনক কারনে অভিযোগের এক মাস পার হলেও কোন ধরনের ব্যবস্থা না গ্রহণ করায় হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষক খাইরুল ইসলাম। ফলে বিষয়টি নিয়ে দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আরো উল্লেখ, উপজেলার লালপুর মৌজার আরএস ৪৪১ দাগে ৫৫ শতাংশ কৃষক খাইরুলের জমি ১১ হাজার ৫৫০ টাকায় আলু করার জন্য প্রজেক্ট কারীকে লীজ দেন ইউপি সদস্য অপারেটর হাসান। কিন্তু অন্য কৃষকদের লীজের টাকা দিলেও খাইরুলকে কোন টাকা দেননি। অথচ আলু উত্তোলন শেষ হলেও বিভিন্ন তালবাহানা করে টাকা দিচ্ছেনা।
কৃষক খাইরুল জানান শুধুমাত্র প্রতিহিংসার কারনে আমার জমি লীজের টাকা দিচ্ছেনা হাসান। বিভিন্ন মারফতে টাকার কথা বলা হলেও উল্টো হুমকি দিয়ে বলছে টাকা তো দেওয়া হবেনা এবং তাঁর জমিতে চাষাবাদের সময় পানিও দেওয়া হবেনা। সে কি করতে পারে দেখা যাবে।
লালপুরগ্রামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের জন্যে বলা হলে মেম্বার হাসান সাব জানিয়ে দেয় তাদেরকে কোন টাকা দেওয়া যাবেনা। যদি পারে আমার বিরুদ্ধে কিছু করুক।
ইউপি সদস্য হাসানের সাথে মোবাইলে কথা বলা হলে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন টাকা না দিলে আলু চাষ হয়। তাহলে খাইরুল অভিযোগ করল কেন প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন যত খুশি অভিযোগ করুক আমার কিছুই করতে পারবেনা বলে দম্ভক্তি প্রকাশ করেন।
এনিয়ে বিএমডির এর সহকারী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও মঙ্গলবার সকালের দিকে ফোন দেওয়া হলে তিনি জানান আ”লীগ যুবলীগের দেশ তারাতো ক্ষমতা দেখাবে, তাদের সাথে আপোষ মিমাংসা করে চাষাবাদ করতে হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুল ইসলামের মোবাইলে ফোন দেওয়া হলে বিজি পাওয়া যায়।
নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথ জানান আমি নতুন এসেছি সামনে কয়েকটি দিবস আছে তারপরে অবশ্যই অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।