বাগেরহাটের মোল্লাহাটে পারিবারিক কলহের জেরে সোমবার রাতে শিশু কন্যাকে আছাড় দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক পাষন্ডবাবার বিরুদ্ধে। নিহত রায়েছা আক্তার (৩) জেলার মোল্লাহাট উপজেলার দৈবকান্দি গ্রামের সরদার মহিউদ্দিন ওরফে হুমায়ুনের মেয়ে।
শিশু কন্যা হত্যার ঘটনায় ওই বাবার বিরুদ্ধে মোল্লাহাট থানায় মামলা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
মামলার নথির বরাতে সংশ্লিষ্ট থানার পরিদর্শক জগন্নাথ চন্দ্র বলেন, “মহিউদ্দিন পদ্মা সেতু প্রকল্পে মুন্সিগঞ্জে কাজ করে আসছিলেন। দিন দশেক আগে ছুটিতে বাড়ি আসেন তিনি। সোমবার সন্ধ্যায় তার স্ত্রীর সঙ্গে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। ঝগড়ায় হুমায়ুনের পক্ষে তার দুই ভাই ও মা যোগ দেন।
একপর্যায়ে হুমায়ুন নিজের মেয়ে রায়েছা আক্তারকে ঘর থেকে কোলে তুলে নিয়ে বাড়ির উঠানের কলপাড়ে দুই পা ধরে আছাড় দেন। রায়েছার কান, নাখ ও মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।” ঘটনার পরপরই মহিউদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।পরিদর্শক আরো বলেন, নিহত রায়েছার চাচাত নানা আব্দুল আলী শেখ রায়েছার বাবা, দাদি ও দুই চাচার নাম উল্লেখ করে মোল্লাহাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, উদয়পুর দৈবকান্দী গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে হুমায়ুন ওরফে মহিউদ্দিনের রাইসা ছাড়াও স্নিগ্ধা আক্তার নামে তাদের পাঁচ বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী গোলাম কবির জানান, পারিবারিক বিরোধের জেরে সোমবার রাতে হুমায়ুন সরদার তার আড়াই বছর বয়সী মেয়ে রাইসাকে আছাড় দেন। এতে ঘটনাস্থলেই শিশুটি মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শক করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদও হাসপাতাল মর্গে পাঠান হয়েছে। এঘনায় থানায় মামলা হয়েছে। অবুজ শিশুহত্যার সাথে জড়িতদের ধরতে জোরচেষ্টা চলছে।