ময়মনসিংহে পুলিশ ব্যুরো অব ইনডেস্টিগেশনের (পিবিআই) দীর্ঘ তদন্তশেষে ৫ মাস পর কিশোরী ধর্ষক দেলোয়ার গ্রেফতার হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ধোবাউড়া থেকে তাকে সোমবার গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হলে দেলোয়ার ধর্ষণের ঘটনা ও দায় স্বিকার করে জবাববন্দি দিয়েছে।
পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, ধোবাউড়ার অসহায়, হতদরিদ্র পরিবারের কিশোরী স্থানীয় এবতেদায়ী মাদরাসায় লেখাপড়া করত। পাশাপাশি ঐ কিশোরী মাঝে মাঝে নাম মাত্র টাকার বিনিময়ে ধোবাউড়ার কলসিন্দুর বাজারে খাবার দোকানে থালা-বাটি ধোয়ামোছার কাজ করতো।
এদিকে টাঙ্গাইলের দেলোয়ার হোসেন ধোবাউড়ার রানীপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়েকে বিয়ে করে ঘর জামাই হিসাবে বসবাস করাকালে কলসিন্দুর বাজারে ভাঙ্গারী দোকান দিয়ে ব্যবসা করতে থাকে। খাবার দোকানে থালাবাটি পরিচ্ছন্ন কাজ করে আসা ঐ কিশোরীকে মাঝে মধ্যেই ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী দেলোয়ার ২/৪ টাকা দিয়ে সহায়তা করে আসছিল।
পুলিশ সুপাার আরো জানান, গত বছরের ২৬ অক্টোবর সকালে ঐ কিশোরী দেলোয়ারের দোকানের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে দোকানে ডেকে নেয়। অবুঝ, সহজ, সরল কিশোরী নির্ভয়ে, নিঃসংকোচে দেলোয়ারের ভাঙ্গারী দোকানের ভিতরে যায়। ঐ সময় দেলোয়ার কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে দেলোয়ার ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে কিশোরীকে তার দোকান থেকে বের করে দিয়ে অন্য কাজের অজুহাতে সে হালুয়াঘাট চলে যায়। এ ঘটনায় ধোবাউড়া থানায় মামলা নং-১৩(১০) ২০২০, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/০৩) এর ৯ (১) দায়ের হয়।
পুলিশ সুপার আরো জানান, থানা পুলিশ মামলাটি তদন্তকালে ঐ বছরের ৩ নভেম্বর পিবিআই স্ব-উদ্যোগে মামলাটি অধিগ্রহণ করে। মামলার তদন্তভার দেয়া হয় পুলিশ পরিদর্শক দেলোয়াল হোসেনের উপর। তদন্তকালে অপরাধীদের গ্রেফতারে একের পর এক অভিযান পরিচালনা করে।
এক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত ২১ মার্চ (২২মার্চ মধ্য রাতে) ধোবাউড়া থেকে দেলোয়ারকে গ্রেফতার করে। দেলোয়ারের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার আরো বলেন, তাকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে ঐ কিশোরীকে তার দোকানে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। মঙ্গলবার তাদের আদালতে পাঠানো হলে সে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।