গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ একটি সড়কের পূর্ণনির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিস্নমানের সামগ্রী ও নিয়মবহিঃভুত পূর্ণনির্মাণ কাজের কারণে আবারও সড়কের ওই স্থানটি ভাঙ্গনের কবলে পড়বে এমন আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।
এদিকে পূর্ণনির্মাণ কাজে অনিয়মের খবর দিলে গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলা এলজিইডি উপ-সহকারী ও তদারকি কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ সেখানে যান। এসময় তিনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে আদলা ইট উঠিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
এলাকাবাসী ও উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বন্যায় পানির স্রোতে কালিয়াকৈর উপজেলার বোর্ডঘর-চান্দাবহ আঞ্চলিক সড়কের বারবাড়িয়া এলাকায় প্রায় ৫২ মিটার ভেঙ্গে যায়। এতে ওই সড়কটি বিচ্ছিন্ন হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েন যানবাহন চালক, যাত্রী ও এলাকাবাসী। খবর পেয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আলহাজ্ব এ্যাড. আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি সড়কের ওই স্থানটি পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি বন্যার পানি নেমে গেলে ভাঙ্গনের কবলে পড়া স্থানটি খুব দ্রুত মেরামতের প্রতিশ্রুতি দেন। ফলে ১৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ওই সড়কের ভেঙ্গে যাওয়া স্থানে পূর্ণনির্মাণ কাজ আসে। কাজটি পান দীমান কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এরপর ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে রোলার না করেই কাঁদামাটি দিয়ে মাটি ফিলিংয়ের ধাপ সম্পূর্ণ করে।
সম্প্রতি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ৫২ মিটার ইটসলিং কাজ শুরু করে। কিন্তু হ্যারিংবন্ড ইটসলিং কাজে কোন রকম বালু ব্যবহার ও নিচে নিয়মবহিঃভুত আদলা ইট দিয়ে সলিংয়ের কাজ করা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন নিম্নমানের সামগ্রী ও নিয়মবহিঃভুত কাজের বিষয়ে বিভিন্ন সময় বললেও কোনো তোয়াক্কা করেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন।
তাদের অভিযোগ, রোলিং না করে মাটি ফিলিং, নিম্নমানের সামগ্রী, আদলা ইট ও নিয়মবহিঃভুত কাজের কারণে আগামী বর্ষা মৌসুমে ওই স্থানটি আবারও ভাঙ্গনের কবলে পড়বে।
জলে যাবে সড়ক পুর্ণনির্মাণের ১৮ লাখ টাকা। উপজেলা এলজিইডি অফিসের যোগসাজসে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমন অনিয়ম করছে বলেও তাদের অভিযোগ। তাদের দাবী, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নজরে নিয়ে নিয়মমতো সঠিকভাবে কাজ সম্পূর্ণ করা হোক।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রোপ্রাইটার মোঃ খোকা জানান, এক নম্বর ইট দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। তবে নিম্নমানের সামগ্রী, আদলা ইট ব্যবহার ও নিয়মবহিঃভুত কাজের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
উপজেলা এলজিইডি উপ-সহকারী ও তদারকি কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ জানান, খবর পেয়ে বুধবার দুপুরে সেখানে গিয়ে আদলা ইট উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাকী অনিয়মের বিষয়টি তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান।