রাজশাহীর তানোর পৌর সদর এলাকার ঐতিহ্যবাহী মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতির মেয়াদ থাকার পরও তদবিরের মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সভাপতির আদেশ জারি করায় হতাশ হয়ে পড়েছেন কলেজের অধ্যক্ষসহ শিক্ষক মহল।
এতে করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের এমন কর্মকাণ্ডে চরম হতাশ হয়ে পড়েছেন। শুধু তাইনা এমন আদেশের খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষক মহলে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে যেমন তেমনি ভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার বলেও গুঞ্জন বইছে।
জানা গেছে, চলতি মাসের ৪ তারিখে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯৩২৫ নম্বর স্বারকে ২০১৯ এর ধারা ৭ অনুযায়ী ভাইস চ্যান্সলরের আদেশে ভারপ্রাপ্ত কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর ডঃ মনিরুজ্জামানের স্বাক্ষরে তালন্দ ললিত মোহন কলেজের অবশরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সেলিম উদ্দিন কবিরাজকে মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেন তালন্দ ললিত মোহন কলেজের অবশরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সেলিম উদ্দিন কবিরাজকে। কিন্তু কলেজের বর্তমান কমিটির মেয়াদ অক্টোবর পর্যন্ত রয়েছে বলেও জানান কলেজ কর্তৃপক্ষ।
মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অনুকুল কুমার ঘোষ জানান, কমিটির মেয়াদ শেষ না হতেই পুনরায় সভাপতির আদেশ দিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর। আসলে চ্যান্সেলরের শেষ কার্যদিবসের দিকে তিনি একাজ টি করেছেন।
তিনি আরও জানান স্থানীয় সাংসদের কোন ধরনের সুপারিশ না নিয়ে অন্যদের সুপারিশে সভাপতি হয়েছেন যেহেতু, সেহেতু এখানে সাংসদ আছেন এবং কমিটির মেয়াদ আছে সেহেতু তার আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত কমিটির মেয়াদ শেষ না হওয়াই দায়িত্ব বুঝে দেওয়া সম্ভব না। আর সেলিম উদ্দিন কেনই বা স্থানীয় সাংসদের সুপারিশ না নিয়ে অন্যদের নিয়ে সাংসদকে খাটো করেছেন যা দুঃখজনক।
সেলিম উদ্দিন কবিরাজ জানান আমাকে দায়িত্ব বুঝে না দিয়ে অধ্যক্ষ তালবাহানা করছেন।
কলেজের বর্তমান সভাপতি ইউএনও পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথ জানান আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত না। সবে যোগদান করেছি। সামনে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী নিয়েই ব্যস্ত আছি। পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে গুরুত্বসহ কারে দেখা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।