বৃহস্পতিবারও দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজধানীতে গ্যাস সরবরাহ কম থাকবে বলে দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি।
বুধবার (২৪ মার্চ) রাতে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে তারা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তিতাস অধিভুক্ত এলাকায় সামগ্রিক নেটওয়ার্কে গ্যাসের সরবরাহ কম থাকায় ঢাকা শহরসহ আশপাশের এলাকায় প্রয়োজনীয় পরিমাণে এবং চাপে গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এ জন্য তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছে। এ অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গ্যাসের স্বল্প-চাপ বিরাজ করবে।
এর আগে বুধবার গ্যাস নেই, এ সংকট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সময় সংবাদকে ফোনে তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আলী ইকবাল মো. নুরুল্লাহ বলেন, গ্যাস সংকট নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। জিটিসিএলকে জিজ্ঞাসা করেন, তারা আমাদের সরবরাহকারী, কিছুক্ষণ সময় দেন। দুপুরটা যাক তারপর দেখব।
এদিকে পাইপলাইনে লিকেজ আর হঠাৎ করে সরবরাহ কমে যাওয়া এ দুইয়ের প্রভাবে দুই দিন ধরে চরম গ্যাস সংকটে রাজধানীর বাসিন্দারা। অনেক বাসায় জ্বলেনি চুলা। খাবার কিনতে হোটেলগুলোতে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ।
দুই দিন ধরেই রাজধানীর বড় একটি অংশেই বাসিন্দারা পাচ্ছেন না গ্যাস। কোথাও কোথাও সরবরাহ থাকলেও চাপ এত কম যে সামান্য ভাত ফুটতেই ঘণ্টা পেরিয়ে যাচ্ছে। এতে করে সকালের নাশতা-দুপুরের খাবার সব কিছুতেই এলোমেলো অবস্থা তাদের।
বাধ্য হয়েই যেতে হচ্ছে হোটেল-রেস্তোরাঁয় এতে ভিড় বাড়ছে সেখানেও। আর এ সুযোগে খাবারের দাম বাড়ানোরও অভিযোগ উঠছে কোথাও কোথাও।মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজধানীতে গ্যাস সংকটের প্রথম কারণ আমিনবাজারে উন্নয়নকাজের সময় তিতাসের গ্যাসপাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এদিন সন্ধ্যায় বিকল্প পাইপলাইনে কোথাও কোথাও গ্যাস দেয়া শুরু করলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি বেশকিছু এলাকায়। এর মধ্যে হঠাৎ সামিটের এলএনজি টার্মিনালে কারিগরি ত্রুটির কারণে জাতীয় গ্রিডে কমে যায় ৩৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ, যা সংকট বাড়িয়ে তোলে আরো।