প্রথম দুই ম্যাচে একাদশে সুযোগ মেলেনি রুবেল হোসেনের। তৃতীয় ম্যাচে দলের ভরাডুবির সময় মিলেছে সুযোগ। আর সেই সুযোগ ভালোভাবেই কাজে লাগাচ্ছেন রুবেল। দারুণ বোলিংয়ে তুলে নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান মার্টিন গাপটিল ও রস টেইলরকে।
বোলিংয়ে ভূমিকা রেখেছেন তাসকিন আহমেদ ও সৌম্য সরকারও। দুইজনেই পেয়েছেন সমান একটি করে উইকেট। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান টম ল্যাথামকে ফিরিয়ে দিয়েছেন সৌম্য। আর হেনরি নিকোলসকে সাজঘরে পাঠিয়েছেন তাসকিন।
অবশ্য ম্যাচটিতে শুরু থেকেই বাংলাদেশকে ভোগাচ্ছে বাজে ফিল্ডিং। এ ছাড়া হাতছাড়া হয়েছে দুটি ক্যাচ। দুটি রান আউটের সুযোগও কাজে লাগানো যায়নি।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ চার উইকেটে ১৭৯ রান। উইকেটে আছেন কনওয়ে ও মিচেল।
ওয়েলিংটনে ম্যাচটিতে টসে হেরে আগে ফিল্ডিং করছে বাংলাদেশ। আগের দুই ম্যাচেও টসে হেরেছিল সফরকারীরা। তবে দুবারই পেয়েছিল ব্যাটিং। এবার পেল বোলিং।
ম্যাচটিতে বাংলাদেশ একাদশে এক পরিবর্তন এসেছে। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের জায়গায় দলে ঢুকেছেন পেসার রুবেল হোসেন। অন্যদিকে শেষ ম্যাচে স্বাগতিকদের দলে ফিরেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রস টেইলর।
ডানেডিনে ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজের প্রথম ম্যাচে আট উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে বদলেছে ব্যাটিং চিত্র। তাতে লড়াইয়ের পুঁজিও জমা হয়েছে স্কোরবোর্ডে। কিন্তু বাজে ফিল্ডিং আর ক্যাচ মিসের মহড়ায় ওই ম্যাচও হাত ছাড়া হয়েছে লাল-সবুজদের।
টানা দুই জয়ে এরই মধ্যে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করেছে কিউইরা। তাই শেষ ম্যাচটি তাদের কাছে স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা আর বিশ্বকাপ সুপার লিগের ১০ পয়েন্ট পাওয়া।
কিন্তু বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কিউইদের মাটিতে এখনো জয়ের স্বাদ পায়নি বাংলাদেশ। ১৫ ওয়ানডের একটিতেও জেতা হয়নি। একই সঙ্গে সুপার লিগের ১০ পয়েন্ট পাওয়া। সব মিলিয়ে জয়ের জন্য মরিয়া টিম বাংলাদেশ।
ওয়ানডে সিরিজের পর মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ২৮ মার্চ থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সিরিজের পরের দুটি টি-টোয়েন্টি হবে ৩০ মার্চ ও ১ এপ্রিল। প্রথম ম্যাচটি হবে হ্যামিল্টনে, দ্বিতীয়টি নেপিয়ারে, শেষটি অকল্যান্ডে।