রাজশাহীর তানোরে পল্লী বিদ্যুতের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের যোগ সাজসে ও নিষেধাক্কা থাকার পরও ৫ হর্সের অবৈধ মটর স্থাপন করে দেদারসে জমিতে সেচের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।পৌর এলাকার বেলপুকুরিয়া গ্রামের মৃত আমজাদ মাষ্টারের পুত্র ব্যাংকে চাকুরীরত শফিকুল ইসলাম কালনা শুকানদিঘি নামক আম বাগানে এই মটর স্থাপন করেছেন।
যদিও উপজেলায় ভূগর্ভের পানি চরম হুমকির মধ্যে থাকায় সেচ মটর স্থাপন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু পল্লী বিদ্যুতের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা সেই নিষেদ্ধাকাকে অমান্য করে অনৈতিক সুবিধার মাধ্যমে ৫ হর্সের মটর স্থাপন করেছেন বলেও একাধিক সুত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এতে করে গভীর নলকূপের স্কিম ভুক্ত কৃষকরা চরম ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন। কারন এই মটর ব্যানিজিক ভাবে আম বাগানে সেচের জন্য দেওয়া হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম।ফলে এমন অবৈধ মটরের সংযোগ দেওয়া ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি উঠেছে।
সরেজমিনে গত শনিবার বিকেলের দিকে গিয়ে দেখা যায় পৌর এলাকার বেলপুকুরিয়া গ্রামের পশ্চিমে এবং মুল রাস্তার উত্তরে কালনা মৌজার অন্তর্ভুক্ত শুখানদিঘি নামক পুকুরের উত্তর পূর্ব দিকে টিনের ঘরের ভিতরে স্থাপন করা হয়েছে ৫ হর্সের মটর। টিনের ঘরের ভিতরে মটর স্থাপন হলেও বিশাল আকারের ফুটো করে বাহিরে দেওয়া আছে মোটা পাইপ এবং পাইপের নিচেই করা আছে পানির হাউস।
পাইপ থেকে লম্বা ফিতা পাইপের মাধ্যমে পশ্চিম দিকে দেওয়া হচ্ছিল পানি সেচ। অবশ্য ঘটনাস্থলে পৌছার আগেই বন্ধ করে দিয়ে সেখানে ছিলেন ড্রেন ম্যান আদিবাসি এক যুবক। এর পরেই সেখানে আসেন মটর মালিক ন্যাশনাল ব্যাংক নওগাঁ শাখায় কর্মরত বেলপুকুরিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের খালাতো ভাই রাকিব।
তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় ৫ হর্সের মটরের অনুমোদন না থাকলেও কিভাবে স্থাপন করা হল তিনি জানান অনুমতি না থাকলে পল্লী বিদ্যুতের অফিসের লোকজন অযথা বাসিয়ে দিয়ে গেল।জমিতে সেচের কথা বলা হলে স্বীকার করে জানান সবে কয়েক বিঘায় সেচ দেওয়া হয়েছে। আমিই মটর দেখভাল করছি । এত টাকা দিয়ে কি অবৈধ কাজ করা যায় বলেও দম্ভক্তি প্রকাশ করেন।
শফিকুলের সাথে মোবাইলে কথা বলা হলে তিনিও দাম্ভিকতা করে বলেন মটর আমি স্থাপন করেছি তাতে কি সমস্যা। অনুমতি না থাকলে বিদ্যুৎ অফিস সংযোগ দিল কিভাবে বলে উল্টো প্রশ্ন করেন তিনি।
পল্লী বিদ্যুতের তানোর জোনের জেনারেল ম্যানেজার জহুরুল ইসলামের সাথে রোববার সকালের দিকে ফোন দিলে তিনি জানান ফাইল দেখতে হবে। ফাইল দেখে জানান তিনি আম বাগানের জন্য মটর স্থাপন করেছেন। সেচের বিষয়ে বলা হলে তিনি জানান দুপুরের পর সরেজমিন তদন্ত করা হবে। বিকেলের দিকে অফিসে গিয়ে কথা বলা হলে তিনি বলেন তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেছে শফিকুল যে ৫ হর্সের মটর স্থাপন করেছেন এইটা জানা ছিলনা।
আজকেই তাকে চিঠি দিয়ে ৫ হর্সের বিপরীতে দেড় হর্সের মটর তিন দিনের মধ্যে স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হবে। এনির্দেশনা না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা অবৈধ সংযোগ দিয়েছে এবং যিনি স্থাপন করেছেন আইনগত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা প্রশ্ন করা হলে কোন ধরনের সদ উত্তর না দিয়ে একই ধরনের কথা বলে এড়িয়ে যান এই কর্মকর্তা।