করোনা ভাইরাসের কারণে আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে সাধারণ মানুষ। আর এসব সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে অনেকে। এরইমধ্যে অনেক বাড়িওয়ালা ভাড়াটিয়াদের বাড়ি ভাড়া মাফ করে দিয়ে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আর প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে কেউ বাড়ি ভাড়া ঠিক মতো পরিশোধ করতে না পারলে এই সঙ্কটকালীন সময়ে তাদের চাপ দেওয়া যাবে না।
কিন্তু নীলফামারীর সৈয়দপুরের চাঁদ নগর এলাকায় এক বাড়িওয়ালা ঘটালো এক হৃদয় বিদারক ঘটনা। কয়েক মাসের ভাড়া দিতে না পারায় প্রতিবন্ধি মা ও দু বোনকে গত রবিবার বাসা থেকে বের করে আসবাবপত্র বাহিরে ফেলে দিয়েছেন।
জানা যায়, ওই এলাকার আনিসুল হক ও রাইসুল হক দু ভাইয়ের সাথে পৈত্রিক জমি নিয়ে দ্বন্দ চলে আসছে। এরই জের ধরে ভারাটিয়া পাপ্পু ও তার প্রতিবন্ধি বোন ও মাকে বের করে বাড়িটি দখলের চেষ্টা চালায় রাইসুল হক ও তার ছেলেরা। পরে বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করলে পুলিশ এসে ভাড়াটিয়াকে বের না করে পারিবারিক ভাবে সমাধানের কথা বলেন।
কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর পরই আজিজুল হক, রাইসুল হক ও তার ছেলে আশিকুল হক বাপ্পি ও ওবায়দুল হক ঐ ভাড়াটিয়াকে বাড়ি থেকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ কারনে অসহায় ঐ ভাড়াটিয়া ও তার পরিবার নিয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় রাত্রি যাপন করছেন। একই সঙ্গে রাইসুল হক, আজিজুল হক সহ তার ছেলেরা আনিসুল হক এর পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমি দখলে নেওয়ার পায়তারা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
ভাড়াটিয়া পাপ্পু জানান দীর্ঘ এক যুগ থেকে প্রতিবন্ধি বোনদের নিয়ে ঐ বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। সামান্য পান দোকান করে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালানোর পাশাপাশি প্রতি মাসেই বাড়ি ভাড়া দিয়ে আসছেন। কিন্তু করোনাকালে কেনা বেচা কম হওয়ায় মাত্র ৩-৪ মাস ভাড়া দিতে পারেনি বলেই বাড়িওয়ালার ভাই রাইসুল হক ও তার ছেলেরা বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে আসবাবপত্র ঘরের বাইরে ফেলে দিয়েছে।
এ ব্যপারে আনিসুল হক জানান যে ঐ জমিটি পৈত্রিক সূত্রে আমি মালিক। সেখানে সাতটি ভাড়াটিয়া রয়েছে। ভাড়াটিয়া পাপ্পু যে বাড়িতে থাকেন সেটি আমার ছোট ভাই রাইসুল হক এর বাড়ির পাসে। তাই সে ভাড়াটিয়াকে বের করে অবৈধ পন্থায় বাড়িটি দখলে নেয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এই ব্যাপারে আমি থানায় অভিযোগ ও দিয়েছি কিন্তু ঐ অভিযোগের তোয়াক্কা না করে উল্টো আমাকে নানান হুমকি প্রদান করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাইসুল হক সাংবাদিকদের সাথে কোন কথাই বলবেন না বলে জানান।