কুড়িগ্রামের চিলমারীতে আওয়ামীলীগ অফিসে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেছে জামায়াতের দুর্বৃত্তরা । এঘটনায় কড়াই বরিশাল বাজারে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার রাতে উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের কড়াইবরিশাল বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিসে দলীয় নেতাকর্মীরা সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে বৈঠক করার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টার দিকে এলাকার কতিপয় চিহ্নিত জামায়েত-শিবির কর্মীর নেতৃত্বে শতাধিক সশস্ত্র ক্যাডাররা অতর্কিত অফিসটিতে হামলা চালায়।
তাদের নিক্ষিপ্ত এলোপাতাড়ি ইটপাটকেলের ঢিল ও লাঠিসোটার আঘাতে টিনশেড অফিস ঘরের জানালা- দরজা ভেঙ্গে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়। এসময় অফিসে থাকা নেতাকর্মীরা অন্ধকারে প্রাণভয়ে অফিসের পিছনের বেড়া খুলে পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন বলে সাংবাদিকদের জানায়।
হামলার খবর পেয়ে চিলমারী মডেল থানার পুলিশ রাত সাড়ে ১২টায় প্রত্যন্ত এলাকার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। ততক্ষনে হামলাকারীরা নিরাপদ দূরত্বে চলে যায়।
এদিকে, ঘটনার একদিন পর চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। প্রতিনিধি দলে ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজাউল করিম লিচু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু হানিফা রঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ফরিদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম চাঁদ চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
এবিষয়ে চিলমারী ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ গয়ছল হক মন্ডল সাংবাদিকদের বলেন, মাত্র কিছুদিন আগে এখানে আওয়ামী লীগ অফিস করা হয়েছে। হামলাকারীরা পরিকল্পিত ভাবে অফিস ভেঙ্গে নতুন টিভি, ডিস ও সোলার সংযোগ তছনছ করে ফেলেছে ।
অভিযোগ রয়েছে, জামায়াত শিবিরের কতিপয় দুর্বৃত্ত পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী জামায়াত অধ্যুষিত পার্শ্ববর্তী রাজিবপুর উপজেলার সাপের চর, মহনগঞ্জ ও কোদালকাটি থেকে জামায়াত ও হেফাজতের কর্মীদের নিয়ে এসে এ সশস্ত্র হামলা চালায়। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি, তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
এব্যাপারে চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি শান্ত আছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।