রাজশাহীর তানোরে প্রতিবন্ধী মহিলা দোকানির কাছে সিগারেট কেনাকে কেন্দ্র করে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসা জামাই আলিফ কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বেধড়ক পিটনি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার উপজেলার কামারগাঁ ইউপির দমদমা মাঝিপাড়া গ্রামে ঘটে ঘটনাটি। এঘটনায় সংবাদ পেয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজন জামাকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার রাত্রি প্রায় সাড়ে এগারোটার দিকে ভর্তি করানো হয়।
কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় গ্রামের প্রভাবশালীরা রফাদফার কথা বলে চাপ সৃষ্টি করে জোরপূর্বক হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসে। বর্তমানে জামাই আলিফ মারাত্মক আহত অবস্থায় হাতে ক্যানোলা নিয়ে ঘরে কাতরাচ্ছেন। অপর দিকে বেধড়ক পিটয়েও দাপটের সাথে ব্যবসা করছেন উসমানের পুত্র বিদ্যুৎ ও ধুলুসহ তাদের সাঙ্গ পাংগরা।
জানা গেছে, চলতি মাসের ৩০ মার্চ মঙ্গলবার শ্বশুরের বাড়িতে জালসা শুনতে আসেন নওগাঁ সদর এলাকার হাট হাট নগর স্কুল পাড়া এলাকার মুছা পুত্র আলিফসহ তাঁর স্ত্রী। এঅবস্থায় পার্শের দোকানে পুরুষ না থাকার কারনে বিবাহিত মহিলার কাছ থেকে জানালা দিয়ে কয়েকটি সিগারেট নিয়ে বাড়িতে যায়। এসময় ওই মহিলার স্বামী তারভাইসহ কয়েকজন ডেকে বিলের মধ্যে ধানী জমিতে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক পিটনি দেন। তাঁর চিৎকারে শ্বশুর বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করিয়ে দেন।
আলিফ জানান সাত বছর অতিবাহিত হল কোনদিন কারো সাথে দু কথা হয়নি। অথচ একটি মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ওই মহিলার স্বামীসহ বেশ কয়েকজন কারেন্টের তাঁর ও বুট দিয়ে বেধড়ক পেটায়। আহত অবস্থায় মেডিকেলে ভর্তি হলে গ্রামের কিছু লোক মিমাংসা করার নাম করে শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে আসেন।ডাক্তার কোনভাবেই ছাড়পত্র দিবেন না এবং বুকের পরীক্ষা করতে বলেছেন।
তাঁর স্ত্রী মনিরা জানান আমার স্বামী যদি অপরাধ করে থাকে তাহলে আইন আদালত আছে কিংবা গ্রামের মোড়লরা আছেন তাদেরকে বিচার দিত কিন্তু এভাবে কেন মারবে আমি এর ন্যায্য বিচার চাই।
ওই মহিলার স্বামী জানান জানালা দিয়ে সিগারেট নেওয়ার সময় আমার স্ত্রীর মাতাল অবস্থায় হাত ধরে টানে। আমি বাড়িতে আসামাত্রই কাদতে কাদতে ঘটনা বলে এজন্য তাকে উত্তম মাধ্যম দেওয়া হয়েছে বলেও দাম্ভিকতা করেন। তবে বৃহস্পতিবারে বসে আপোষ মীমাংসার কথা রয়েছে।
থানার ওসি রাকিবুল হাসান জানান ঘটনা সম্পর্কে অবহিত না এবং অভিযোগও পাওয়া যায়নি। পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।