মহামারী করোনাভাইরাসের ভয়াবহ দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে সরকার যখন প্রজ্ঞাপণ জারি করে সব ধরনের সভা সমাবেশ বেশি লোকের সমাগম রাত্রি দশটার পরে বের হতে নিষেধাক্কাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার উপর কঠোর নির্দেশনা মানতে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। ঠিক সেই সময় কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ রাজশাহীর তানোরে আগামী ৮ এপ্রিল কাউন্সিল করতে প্রচুর চাপ দেওয়ার কারনে এক প্রকার বাধ্য হয়েই প্রস্তুতি সভা করেছেন।
শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে উপজেলা আ”লীগের আয়োজনে পরিষদের হলরুমে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানীর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কাউন্সিল প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক জেলা আ”লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ একরামুল হক।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আ”লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুস সামাদ, জেলা মহিলালীগ সভাপতি জেলা সদস্য মর্জিনা খাতুন, জেলা আ”লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট এজাজুল মানু,জেলা সদস্য সম্মেলন কমিটির সদস্য কেশরহাট পৌর মেয়র সহিদুজ্জামান সহিদ,উপজেলা আ”লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ, আ”লীগ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ,তানোর পৌর আ”লীগ সভাপতি মেয়র ইমরুল হক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ”লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, আ”লীগ নেতা কামারগাঁ ইউপি চেয়ারম্যান মসলেম উদ্দিন,মুণ্ডুমালা পৌর আ”লীগ সভাপতি জেলা পরিষদ সদস্য এডভোকেট গোলাম মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল সরকার পাপুল, চান্দুড়িয়া ইউপির সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সরনজাই ইউপি চেয়ারম্যান ইউপি আ”লীগ সভাপতি আব্দুল মালেক,সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সাদাত, বাধাইড় ইউপির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, পাচন্দর ইউপির সাধারন সম্পাদক বিজেন কর্মকারসহ উপজেলা কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য দুটি পৌরসভা ও সাত ইউপির সভাপতি সম্পাদকরা ।
সভাপতির সমাপনি বক্তব্যে বলেন দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ভয়াবহ আকার ধারন করেছে, প্রশাসন কোনভাবেই সম্মেলন করতে দিতে রাজি না, কিন্তু কেন্দ্রীয়ভাবে নির্দেশ সম্মেলন করতেই হবে। আমাকে আজকেউ প্রশাসন সাব জানিয়ে দিয়েছে সম্মেলন করলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যে নির্দেশ দিবেন সেটিই পালন করা হবে। আমি অনুরোধ করব সম্মেলন সফল করতে যে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন হয়েছে তাঁরা যেন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখেন। কারন সম্মেলনে এসে যেন নেতাকর্মীরা কোন ধরনের সমস্যায় না পড়েন।
এই বক্তব্যের জবাবে সভার প্রধান অতিথি বলেন প্রশাসন সরকারের বাহিরে না। কেন্দ্রীয় আ”লীগের নির্দেশে হবে সম্মেলন, এখানে প্রশাসনের কিছুই করার থাকবেনা। আজ বানেশ্বর কলেজ মাঠে ফুটবল ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানকার প্রশাসন নিষেধ করেছিল আমি বলেছি খেলা হবেই, হয়েছেও তাই।
এদিকে প্রস্তুতি সভার পাল্টা সভা হিসেবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার সরকারি বাস ভবনে যুবলীগের বর্ধিত সভা করেছেন। তবে সভায় রহস্যজনক কারনে তানোর পৌর যুবলীগ সভাপতি রাজিব সরকার হিরো এবং সাধারন সম্পাদক ওহাব সরদারকে ডাকা হয়নি। এই সময় সরকারি বাসভবনে যুবলীগের এমন সভা নিয়েও আ”লীগ নেতাদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছিল । সভায় যুবলীগ ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
যুবলীগের সভায় আসা নেতাকর্মীরা আ”লীগের সভার পাশপাশে ঘোরাঘুরি দেখে পরিবেশ কিছুটা উত্তপ্ত দেখা যায় এবং সন্ধ্যার পরে উপজেলায় পুলিশের পিকআপ এসে খোজ খবর নিয়ে পরিবেশ শান্ত দেখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন বলেও একাধিক প্রত্যাক্ষদর্শীরা নিশ্চিত করেন।কারন তাঁর আগেই প্রস্তুতি সভা শেষ করা হয়েছিল।