রাজধানীর ডেমরা থানার অধীনে মদীনা নগর বামৈল পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ডেমরা থানার উপ-পরিদর্শক ফকরুদ্দিনের সামনেই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী জালু ও মালু দুই ভাইয়ের নেতৃত্বে দা, রড, লাঠি, ছুরি সহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গার্মেন্টস ব্যবসায়ী সাহাদাৎ হোসেন টিটুকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে যখম করে এবং জোর করে সাহাদাৎ হোসেন টিটুর বাড়ী দখল করে তার পরিবারকে জিম্মি করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সাহাদাৎ হোসেন টিটু জানান, গত ২৫ শে মার্চ দুপুর দেড় টায় আমার মা আমাকে ফোনে জানান জালু ও তার ভাই মালু ৫০/৬০ জন লোক নিয়ে বাড়ীতে হামলা করেছে এবং দড়জা ভাঙ্গার চেষ্ঠা করছে আর অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করছে।
এমতঅবস্থায় আম্মার কথা শুনে আমি তখন ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে বিষয়টি জানালে কন্ট্রোলরুম ডেমরা থানাকে অবহিত করেন। ডেমরা থানার উপ-পরিদর্শক ফকরুদ্দিন ও দুই জন পুলিশ সদস্য সহ একটি টিমের সাথে আমার যোগাযোগ হলে তাদেরকে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই।
সে সময় জালু ও মালু সহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী আামার বাড়ীতে ভাঙ্গচুর সহ সন্ত্রাসী তান্ডব চালাচ্ছে, আমাকে দেখেই আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা রড, লাঠি, ছুরি সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অফিসারের সামনেই হামলা করে আমার কপাল নাখ ফেটে পুরো শরীর রক্তে ভেসে যায়।
আমাকে বাঁচাতে আমার মা এবং বোন এলে তাদের উপরে হামলা চালায় এ সময় উপ-পরিদর্শক ফকরুদ্দিন আমার মা বোনকে রক্ষা করার চেষ্ঠা করেন। আমি আমার প্রান বাঁচাতে ওখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাই। প্রথমে র্যাব ১০ এর অফিসে গেলে তারা আমাকে আগে ঢাকা মেডিকেল যাওয়ার পরামর্শ দেন।
আমার মাথায় ও নাকে সেলাই সহ ব্যন্ডিজ করার পরে মামলার উদ্দেশ্যে ডেমরা থানায় গেলে প্রথমে তারা কোন অদৃশ্য কারনে মামলা নেননি পরে একটি অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেন।
এবিষয়ে উক্ত অভিযোগের দায়ীত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক রফিককে অভিযোগের বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চাইলে প্রতিবেদককে জানান, তার সাথে বাদী পক্ষের কেহ যোগাযোগ না করায় তিনি কোন তদন্তে যায়নি।
বাদীর ছোট ভাই জানান, আমরা তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক রফিক এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমার কিছু করার নেই আপনারা ওসি স্যারের সাথে যোগাযোগ করেন।
বাদীর ছোট ভাই আরোও জানান, বাড়ীতে আমার মা, বোন ভাবী সহ সকলকে জিম্মি করে রেখেছে আমরা আতঙ্কে আছি, আমার ভাই পালিয়ে বেড়াচ্ছে তারা হুমকি দিচ্ছে আমার ভাইকে মেরে ফেলার। এর আগে উপ-পরিদর্শক ফকরুদ্দিন এর সামনেই হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ভাইর উপরে হামলা করে, এখন কোন ভরসায় তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক রফিক এর সাথে দেখা করবো।
এ ব্যপারে সাহাদাৎ হোসেন টিটুর মা ও তার স্ত্রী জানান, আমরা বর্তমানে সন্তানদের নিয়ে মারাত্মক আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি রাতে ঠিকমত ঘুমাতে পারিনা আমাদের বাড়ীর সকল রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে এতেকরে কেহ বাড়ীর বাহিরে বের হতে বা আসতে পারেনা। থানায় অভিযোগ করেও থানা কোন কাজে আসছে না নীরব ভূমিকা পালন করছে তারা ।