রাজশাহীর তানোর পৌরসভার কাজি সালাউদ্দিনের জালিয়াতি নীতিমালা লঙ্ঘন ও অনিয়ম-দুর্নীতি করে নিকাহ্ রেজিস্ট্রার (কাজি) নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন পর কাজি নিয়োগে অনিয়মের খবর ছড়িয়ে সংশ্লিস্ট বিভাগসহ পৌর এলাকা জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃস্টি হয়েছে। সেই সাথে এমন জালিয়াতির জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের সরেজমিন তদন্তপুর্বক যথাযথ ব্যব¯’া গ্রহণের জন্য জোরালো দাবি উঠেছে।
জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার বাসিন্দা আব্দুস সামাদের পুত্র সালাউদ্দিন তানোর পৌরসভার কুঠিপাড়া গ্রামের বেলালের বাড়িতে ভাড়া ছিলেন। ২০০৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তথ্য গোপণ জালিয়াতি ও প্রতারণা করে তানোর পৌরসভার নিকাহ্ রেজিস্ট্রার(কাজি) নিয়োগ নিয়েছেন।
এঘটনায়২০০৭ সালের ১১ মার্চ তানোর পৌর মেয়র এমরান আলী মোল্লা (প্রয়াত) প্রত্যায়নপত্র দিয়েছিলেন সালাউদ্দিন তানোর পৌরসভার নাগরিক নয় তিনি কুঠিপাড়া গ্রামে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন। অথচ তিনি সংশ্লিষ্ট বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে কাজি নিয়োগ পেয়েছে। তাছাড়া তিনি কিভাবে কাজি নিয়োগ পান এমন প্রশ্ন সর্বত্রই।
এছাড়াও গত ২০০৯ সালের ৩১ মার্চ তানোর পৌরসভার গোল্লাপাড়া গ্রামের ওয়াজেদ আলীর পুত্র আবুল কালাম আজাদ বাদি হয়ে কাজি সালাউদ্দিনকে বিবাদী করে রাজশাহী তানোর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। যাহার মামলা নম্বর ৪১/০৯অঃপ্রঃ।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই গোল্লাপাড়া গ্রামে বাল্য বিয়ে দিয়েছেন যাহার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১৩/০৮ এবং একই গ্রামে ২০০৮ সালের ২৫ এপ্রিল আরো একটি বাল্য বিয়ে দিয়েছেন যাহার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৫৮/২০০৮ বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
নাম প্রকাশে অনি”ছুক এক ভুক্তভোগী জানান, নকল তোলাসহ নানা কাজে কাজি অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন, এছাড়াও কাজি নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, বিবাহ রেজিস্ট্রি, তালাক ইত্যাদি কাজে সরকার নির্ধারিত ফি আছে তবে কাজি তা লঙ্ঘন করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে নিকাহ্ রেজিস্ট্রার (কাজি) সালাউদ্দিন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার বির“দ্ধে একটি মহল দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র করে আসছে, তিনি বলেন, তার বির“দ্ধে তারাই এসব অপপ্রচার করছে।