রাজশাহীর তানোরে আধুনিক মেশিনে ডিজিটাল ভাবে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে চলছে রাস্তার কার্পেটিংএর কাজ বলে অভিযোগ উঠেছে।গত রবিবার সকাল থেকেই উপজেলার সরনজাই থেকে শুরু হয়েছে কার্পেটিঙের কাজ। এতই নিম্মমান ভাবে কার্পেটিং হচ্ছে যা কল্পনাতীত।
অবস্থাটা এমন প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করে বেপরোয়া অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে কাজ হলেও নির্বিকার প্রকৌশলী। তিনিই আবার ঠিকাদারের প্রাইভেট কারে চড়ে রাস্তার কাজে যাচ্ছেন।ফলে নিম্মমানের কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা এবং উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী।
স্থানিয়রা জানান,ডাব্লিউ বিএম ও প্রাইম করার দীর্ঘদিন পর চলতি মাসের গত রবিবার সকাল থেকেই শুরু হয় রাস্তা কার্পেটঙয়ের কাজ। কিন্তু কার্পেটিং সকালে শুরু হলেও ঠিকাদার ও প্রকৌশলী কাউকে দেখা যায়নি।ওই দিন দুপুরের আগে থেকেই ছিল প্রচুর তাপমাত্রা। রাস্তা কার্পেটিঙের জায়গা হতে পিচ পাথরে নামমাত্র বিটুমিন দিয়ে প্রায় সাত থেকে আট কিলোমিটার দূর থেকে পিচ পাথর আনার কারনে তাপমাত্রাও নষ্ট হয়ে পড়ছে ।
আবার বিকেলের দিকে ব্যাপক হারে ঘূর্ণি ঝড়ের মধ্যেই চলছিল পিচ দেওয়ার কাজ। তার কিছুক্ষন আগে কাজের জায়গায় ঠিকাদারের প্রাইভেট কারে প্রকৌশলীকে দেখা যায়, ঝড় থামামাত্রই ওই কারে করে তিনি তানোর মুণ্ডুমালা রাস্তার যেখান থেকে পিচ দেওয়ার জন্য ট্রাকে করে বুড়াবুড়ি নামক স্থান থেকে আনা হচ্ছে সেখানেই চলে সেখানেই ঠিকাদারের গাড়িতে করে চলে যান দ্রুত গতিতে ।
সরেজমিনে বুধবার দুপুরের আগে এলাবাসির মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে সরণজাই সরকার পাড়া ও মানিক কন্যার মাঝে গিয়ে দেখা যায় কার্পেটিং করার পর উঠে যাচ্ছে। সেখানে থাকা কিছু ব্যক্তি জানান শুধু পিচ না রাস্তায় তেমন ভাবে খোয়াও দেওয়া হয়নি। দীর্ঘদিন পর রাস্তার কাজ শুরু হলেও প্রচুরভাবে অনিয়ম হচ্ছে বলে একাধিক পথচারীরা জানান। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন এলাকায় জনপ্রতিনিধিরাও এসব ব্যাপারে কিছুই বলতে পারেনা।তারা মাননীয় সাংসদ ও উপজেলা চেয়ারম্যানের জরুরী ভাবে রাস্তার কাজের ব্যাপারে দৃষ্টি দেওয়ার অনুরোধও করেন।
সুত্রে জানা যায়, সরণজাই থেকে মোহর, দেবিপুর, বিল শহর, পাকুয়া হাট, ইলামদহি, ধুবইল মোড় দিয়ে প্রকাশ নগর পর্যন্ত ১৭.২৯১ কিঃমিঃ রাস্তা সাংস্কার হচ্ছে। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ কোটি ৪১ লাখ ৮১০ টাকা ২৫ পয়সা। সরণজাই বাজারে মারা উদ্বোধনী ফলক থেকে পাওয়া যায় তথ্যটি। তবে কাজটি কে দরপত্রের মাধ্যমে পেয়েছেন কোন কিছুই এবং তারিখটা পর্যন্ত লিখা নেই।
রাস্তা কার্পেটিং উঠে যাওয়ার ব্যাপারে কাজ করা ঠিকাদার ওয়াসিমের ব্যক্তিগত ০১৭১২-৬৩১৯৮৯ নম্বরে বিকেলের দিকে দুবার ফোন দেওয়া হলে রিসিভ করেননি। পরে তিনি এই প্রতিবেদকের মোবাইলে কল দিলে রাস্তা কার্পেটং দেওয়ার পর কিভাবে উঠে যায় পিচ জানতে চাইলে তিনি জানান রাজশাহী শহরে আসেন সাক্ষাত কার দিচ্ছে, তানোরে কত সাংবাদিক ফোন দেয় পারলে শহরে আসেন বলেও এক প্রকার দাম্ভিকতা দেখান। তাকেও উল্টো প্রশ্ন করা হয় কাজ করছেন তানোরে শহরে কেন সাক্ষাত হবে আপনি কাজের জায়গায় আসেন তখন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুনের ০১৭১৯-১০৬৩২৮ মোবাইল নম্বরে ফোন দেওয়া হলে রিসিভ না করার কারনে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর ০১৭১১-১৯১১৬৬ নম্বরেও একাধিক বার ফোন দিলেও তিনিও রিসিভ করেননি তিনি।