যশোরে লকডাউনের চতুর্থ দিন শিথিল ছিল। শহরে স্বাভাবিকভাবেই মানুষ চলাচল করেছে। সেই সাথে রিকশার পাশাপাশি চলাচল করছে ইজিবাইক, প্রাইভেটকারসহ ছোট খাটো যানবাহন। প্রতিদিনের মতো পুলিশ প্রশাসন দায়িত্ব পালন করেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত ২০ মামলায় ৬ হাজার ৮শ টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
এদিকে আজ শুক্রবার থেকে দোকান খোলার ঘোষণায় যশোরের ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটেছে। তবে জেলা প্রশাসক বলেছেন স্বাস্থ্য বিধি না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।শহর ঘুরে দেখা গেছে, লকডাউনের প্রথম তিন দিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিন শিথিল ছিল। অন্যদিনের তুলনায় যেন মানুষ সহ ছোট খাটো পরিবহন স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করেছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রচার মাইক চোখে পড়েনি। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালত সদরসহ চার উপজেলায় ২০ মামলায় ৬ হাজার ৮শ টাকা জরিমানা আদায় করেছে। এর মধ্যে সদরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ৯টি মামলায় ২ হাজার ৪শ টাকা জরিমানা ও সহকারী কমিশনার ভূমি ২ টি মামলায় ২ শ টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
শার্শা সহকারি কমিশনার ভূমি ৩টি মামলায় ২ হাজার টাকা, কেশবপুরের সহকারী কমিশনার ভূমি ৩টি মামলায় ১ হাজার শ টাকা ও চৌগাছায় সহকারী কমিশনার ভূমি ৩টি মামলায় ১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে। জেলা প্রশাসন থেকে এতথ্য নিশ্চিত করেছে। বড় কাচা বাজারে স্বাস্থ্যবিধি না পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষকে সতর্ক করে দেয়া হয়। এদিকে কেন্দ্রীয়ভাবে আজ শুক্রবার থেকে ১৩ এপ্রিল সকাল ৯ টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত শপিংমল,দোকান খোলার ঘোষণা দেয়ায় যশোরে ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটেছে।
বড়বাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি মীর মোশাররফ হোসেন বাবু জানান.আমরা সরকারের সিদ্ধান্ত পালন করছি। সরকারিভাবে ঘোষণার পর শপিংমল দোকান বন্ধ রেখেছি। যেহেতু স্বাস্থ্য বিধি মেনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সরকারি ভাবে দোকান খোলার ঘোষণা হয়েছে। সেকারনে আমরা সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেচাকেনা করবো।
যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেছেন সরকারের বিধি নিষেধ আমরা বাস্তবায়ন করছি। এজন্য পুলিশ প্রশাসন ও ম্যাজিস্ট্রেটের টিম মাঠে রয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে শপিংমল ও দোকান খোলার ঘোষণা এসেছে। সারা দেশের মতো যশোরের ব্যবসায়ীরা শপিংমল ও দোকান খুলে ব্যবসা করবে। তবে সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।